দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা আসছেন ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যার কারণে প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিতে এসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিভিন্ন রোগীরা।
জানা যায়,চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সামনে কালেক্টরেট জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে দীর্ঘ কয়েক বছরের পুরনো সাবেক জেলা আইনজীবী আইনজীবী সমিতির একটি ভবন রয়েছে। যেটি অনেকটাই পরিত্যাক্ত ভবন হিসেবে চিহ্নিত। ভবনটি দীর্ঘদিনের পুরনো হলেও সেটিকে এখনো পর্যন্ত ব্যবহার করে আসছেন একটি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,একতলা বিশিষ্ট ভবনটি সেই দীর্ঘ দিনের পুরনো একটি ভবন, যেটির বিভিন্ন স্থানে আস্তর রং চুনা উঠে গেছে। অনেক স্থানে পাকা ঢালাই খসে পড়ে রড দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়দের কাছে স্থানীয়দের কাছে জানা যায় গত এক মাস পূর্বে ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হঠাৎ ছাদ থেকে পাকা ঢালাই খসে নিচে পড়ে যায় এতে করে ডিসটিক সেন্টারের সৌন্দর্য বর্ধনে তৈরি প্লাস্টিকের সিলিং নষ্ট হলেও সেখানে কোনো রোগী না থাকায় তেমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে নি।
সরজমিনে ভবনটির যে পরিস্থিতি দেখা গেছে এতে করে যে কোন মুহূর্তে এই ভবনটি ধসে পড়ে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
অথচ সেই পরিত্যাক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যেখানে ফেমাস ডায়গনস্টিক সেন্টারে কর্মরত লোকজনের নিজেদেরই জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই, সেখানে বেআইনি ভাবে অনিয়ম করে নিরাপত্তাহীনতা ভাবেই প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
খবর নিয়ে জানা গেছে ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বেতনভুক্ত দালালদের মাধ্যমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে দালালরা বিভিন্ন রোগীদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে এখানে নিয়ে আসেন। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০/৬০ জন রোগী হয়ে থাকে। একই সাথে রোগীর স্বজনরাও রোগীর সাথে এখানে এসে থাকেন।
অথচ মালিকপক্ষ ভবনটি পরিত্যক্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিয়মবহির্ভূতভাবে এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে তারা প্রতিদিন নিরাপত্তাহীনতায় রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। যেখানে নিজেদেরই কোনো নিরাপত্তা নেই সেখানে রোগীদেরকে কতটুকু নিরাপত্তা দিবেন তারা এ নিয়ে সচেতন মহলের প্রশ্ন। তাই বড় কোন দুর্ঘটনা এবং কোন প্রাণহানী ঘটার আগেই এই পরিত্যাক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে যাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদেরকে আর কোন চিকিৎসাসেবা না দেয়া হয়, সেজন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ বিভাগ জরুরী ভিত্ততে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সহকারী পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, ভবনটি পরিত্যাক্ত কিনা আমরা জানিনা। তবে এটি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ভবন। আমরা প্রতিমাসে তাদেরকে ভাড়া দেই। এটি সম্পর্কে তারা ভালো জানেন এবং এ বিষয়ে তারা বলতে পারবেন। এটি আমাদের বিষয় নয়।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৬ সেপেটম্বর ২০২০