চাঁদপুরে জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের পাকা ধান

গ্রীষ্মের এই চরম তাপদাহকে উপেক্ষা করে সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শাহতলী ও এর আশেপাশের কয়েক হাজার ইরি ধানের জমির কৃষকরা।

এখান থেকে কৃষকরা তাদের বছর খোরাকি উৎপাদন করে থাকে। ডাকাতিয়া নদীর পানি জোয়ারের কারণে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পরেছে নদীর দু’পাড়ের কৃষকরা।

এ বছর ডাকাতিয়ার পানি কিছুদিন আগ থেকেই বাড়তে থাকায় ধান কাটতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে কৃষকদের।

শাহতলী, পাইকদী, রামচন্দ্রপুর, হামানকর্দ্দি চর এলাকাসহ আরো অনেক ছোট বড় চরগুলির পাকা ইরি ধানের জমিই এখন জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

প্রকৃতির নিয়ম জোয়ার-ভাটার সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হচ্ছে চাষিদের। বসে থাকতে হচ্ছে ভাটার অপেক্ষায়।

যার ফলে জোয়ারের সময় অনেককেই অলস অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। গত ক’দিন ধরে ধানগাছগুলো পানির নিচে থাকার কারণে অনেক ধান ইতোমধ্যে পঁচে গেছে।

যার ফলে ধান কাটতে আরো বেশি পরিমানে সময় পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে পানির নিচ থেকে ধান কাটার জন্য জমির মালিককে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। তাতেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ধান কাটার লোক।

এছাড়া পানির নিচে কাঁচি দিয়ে এভাবে ধান কাটা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও বটে।

শুধু তাই নয় ধান কাটার সময় সাথে রাখতে হচ্ছে নৌকা বা ট্রলার। ধানগুলো কাটর সাথে সাথেই তুলতে হয় নৌকা বা ট্রলারে। আর জোয়ার আসর আগেই ধানগুলো নিয়ে যাওয়া যায় স্ব স্ব গন্তব্যে।

এই বিষয়ে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এই চর গুলোতে যারা দেরিতে ধান রোপণ করে তাদের প্রতি বছরই বৈশাখের শেষ দিকে এসে এ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু এবছর পানির পরিমাণ একটু বেশি হওয়ার কারণে কৃষকদের এ দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

তবে এ বছর সরকার ধানের বর্তমান বাজার দর একটু বেশি নির্ধারণ করায় তাদের এ বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে পারবে বলেও মনে করছেন কৃষকরা।

প্রতিবেদন, শাহতলী থেকে এম. এ. শাকুর :

আপডেট ৯:৩০ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Share