Home / জাতীয় / অর্থনীতি / চাঁদপুরে জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ৬৩০ কোটি টাকা র‌্যামিটেন্স অর্জন
Tk
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ৬৩০ কোটি টাকা র‌্যামিটেন্স অর্জন

চাঁদপুর দেশের অন্যতম ব্যবসাকর,কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনকারী অঞ্চল । যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক উন্নত । চাঁদপুরের ৪ ব্যাংকের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করেছে ৬৩০ কোটি ৯৮ লাখ ও লাভ করেছে ৫৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কৃষি ব্যাংকের ২৮ টি শাখায় জুন ২০২০ পর্যন্ত লাভ করেছে ২৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ১১০ কোটি টাকা । সোনালী ব্যাংকের ২০টি শাখায় জুন পর্যন্ত লাভ ১৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ।

অগ্রণী ব্যাংকের ২০ টি শাখায় জুন পর্যন্ত লাভ ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ২৮৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা । জনতা ব্যাংকের ১৭টি শাখায় জুন পর্যন্ত লাভ করেছে ৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ১৪১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ।

চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৬০ হাজার শ্রমজীবী কাজ করছেন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র‌্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স্বজনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে। তবে এবার প্রাণঘাতী করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অর্জনের হার অনেকটা কমে গেছে বলে সংশ্রিস্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তাগণ জানান।

চাদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এ সব র‌্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নি আন্তর্জাতিকভাবে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এ সব র‌্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে ।

অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যাবস্থাপক গীতারাণী মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘প্রবাসীরা টাকা প্রেরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাংক তার গ্রাহককে কাংখিত অংকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থের তারল্যের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক বুথের মাধ্যমেই টাকা আদায় করছে ও নতুনভাবে ঋণও বিতরণ করছে।’

সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসুচির ভাতা প্রদান, আমানত, রেমিট্যান্স বিভিন্ন প্রকার হিসাব থেকে সার্ভিস চার্জ,ডিডি কমিশন, টিটি কমিশন থেকে ব্যাংক লাভ পেয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংক ২৮টি গ্রাহক সেবা প্রদান করে থাকে। তবে এবারের বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জনের ক্ষেত্রে মহামারী করোনর কারণে পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের র‌্যামিটেন্স যোদ্ধারা লক ডাউনে থাকায় র‌্যামিটেন্স পাঠাতে পারছেনা ।’

আবদুল গনি, ৫ জুলাই ২০২০