সারাদেশব্যাপি জুনিয়র বৃত্তি, মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণি ও এবতাদেয়ী বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ এবং শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। সারাদেশসহ এবছর চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় একই নিয়ম-নীতিতে ও একই সময়ে ; দিন ও তারিখে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদপুর জেলায় জুনিয়র, দাখিল ৮ম শ্রেণি ও মাদ্রাসার এবতেদায়ী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা- ৯ হাজার ৯শ ৫৪ জন ।
এর মাধ্যে স্কুল পর্যায়ের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার্থী ৬ হাজার ৫শ ৩৮ জন। কেন্দ্র ৮ উপজেলায় ৮টি কেন্দ্র রয়েছে। তবে প্রতিটি কেন্দ্রের অধীনে একাধিক ভ্যানু রয়েছে। প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীদের জন্যে একজন করে পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসারে কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে-চাঁদপুর সদরে – ১ হাজার ৩শ ১৮ জন, ফরিদগঞ্জে ৯শ ৯২ জন, শাহরাস্তি ৬শ ৪৯ জন , হাজীগঞ্জে ৯শ ৬০ জন, কচুয়ায় ৮শ ৬৯ জন, মতলব উত্তর ৮শ ৮৫ জন, মতলব দক্ষিণ ৬শ ৭২ জন এবং হাইমচরে ২ শ ৯২ জন শিক্ষার্থী এবার জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা অফিস সূত্র মতে – দাখিল ৮ম শ্রেণি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা- ১ হাজার ৬শ ৬৮ জন এবং এবতেদায়ীর সংখ্যা ১ হাজার ৭শ ৪৮ জন। কেন্দ্র প্রত্যেক উপজেলায় ১টি ।
হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ টি মাধ্যমিক স্কুলে এবং ২৩ টি মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫শ জন । এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুলের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯শ ৬০ জন ,মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শ ৪৬ জন এবং এবতেদায়ীর সংখ্যা ১শ ৯৫ জন। কেন্দ্র ২ টি। স্কুলের পরীক্ষা হচ্ছে-হাজীগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং মাদ্রাসার এবতেদায়ীর শিক্ষার্থীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আহমাদিয়া কামেল মাদ্রাসায়। উপজেলা মাধ্যমিক অফিস সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল্লাহ ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে জানান,‘ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় ১টি করে কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী বেশি হলে পরবর্তী প্রতিষ্ঠান ভ্যানু হিসেবে ব্যবহৃত হবে।প্রত্যেক কেন্দ্র সচিব সরকারি বিধিমত পরীক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কোনো ভাবেই এর ব্যত্যয় করা যাবে না ।’
চলতি বছর থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব জানান, ২০ জুলাই বৃত্তি পরীক্ষা চালুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.খন্দোকার এহসানুল কবির এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকেই জেএসসি ও জেডিসি নামে পাবলিক পরীক্ষা চালু হয়।
যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোচিং ও নোট-গাইডনির্ভরতা বাড়িয়ে দেয়। শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের দাবি ছিল, এ পরীক্ষাগুলো শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। বহু আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করে বার্ষিক পরীক্ষা চালু করে তৎকালীন সরকার।
২০২৪ সালে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও এসব পরীক্ষা আর হয় নি। আগে নির্দিষ্ট একটি শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেত। তবে এবারের জন্য এখনো কোনো নতুন নীতিমালা নির্ধারিত হয়নি। কতজন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে,সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসন্ন বৈঠকে জানা যাবে। বেগম বদরুন নাহার বলেন,‘ চলতি শিক্ষা বছর থেকেই বৃত্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে,যেন শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধা যাচাই করা সম্ভব হয়।’
আবদুল গনি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
এ জি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur