চাঁদপুরের দলীয় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা,বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৪ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে জেলা বিএনপির আয়োজনে ১৯ জানুয়ারি রোববার সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিকেলে জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা এবং তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং দোয়ার অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সেলিম উল্যাহ সেলিম। যুগ্ম আহ্বায়ক মুনির চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আনোয়ার বাবলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশীদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, জেলা যুবদলের সভাপতি (ভারপ্রপ্ত) মানিকুর রহমান মানিক, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ঈমাম হোসেন গাজী, সাধারন সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, জাসাস নেতা শোহেব মোঃ কলিম প্রমুখ।
অ্যাড.সেলিম উল্যাহ সেলিম তার বক্তব্যে বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের অধিকারি ছিলেন। তার জীবন সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবের নাম থাকলে জিয়াউর রহমানের নাম ও থাকতে হবে। আমরা মহান একাত্তরে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অস্বীকার করি না, কিন্তু তারা শহীদ জিয়ার অবদান তার স্বাধীনতার ঘোষণা অস্বীকার করছে। শেখ মুজিবকে যখন আটক করা হয়, তখন দেশের মুক্তিকামী মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলো। সেই মুহূর্তে ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সাথে বিদ্রহ করে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর থেকেই সারা দেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তিতে শেখ মুজিবের বন্ধু খন্দকার মোস্তাক তাকে হত্যা করে। আজকে জিয়াউর রহমানের উপর দোষ চাপানো হয়। শেখ হাসিনা এখন প্রশ্ন করে তার পিতাকে হত্যার সময় আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় ছিলো। আমরাও জানতে চাই, বর্তমানে আওয়ামী লীগের আপনজন তোফায়েল আহমেদ, এইটি ইমান, হাসানুল হক ইনু, মতিয়া চৌধুরীরা কোথায় ছিলো?। পঁচাত্তর পরবর্তিতে বাকশাল এবং দুর্ভিক্ষসহ দেশে যে ক্লান্তিকাল ছিলো।শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশকে সে ক্লান্তিকাল থেকে উত্তরণ করেছে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন,আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের জন্মশতবর্ষ পালন করছে। পুলিশি পাহারায় শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। অথচ এমনটা হবার কথা ছিলো না। দেশের সব মানুষ শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা করার কথা ছিলো। আমরা জিয়াউর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যেদিন পালন করবো। সেদিন পুলিশকে জিয়ার ছবি পাহারা দিতে হবে না। দেশের সকল জনগণ হৃদয় থেকে ভালোবেসে জন্মশতবার্ষিকী পালন করবে।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন। আয়োজনে চাঁদপুর জেলা বিএনপি,সদর উপজেলা বিএনপি, সদর পৌর বিএনপি ও বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আশিক বিন রহিম