চাঁদপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হয়েছে। শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শারীরিক বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি শনিবার সকাল থেকে সারাদেশের মতো শিশুদের এই ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
চাঁদপুর জেলায় মোট ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩শ’ ৩৬ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানোর টার্গেট নেয়া হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭৯ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ২শ’ ৪৭ জন।
১১ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৯টায় চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া। তিনি নিজ হাতে কয়েকজন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. আঞ্জুমারা ফেন্সী, ইউএনআইসিইএফ প্রতিনিধি রাশেদুল খান মিলন, পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়িকা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, পৌরসভার ইপিআই সুপারভাইজার মো. হানিফ গাজী, ভ্যাকসিনেটর আবু নাছের ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে।
শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক কেন্দ্রগুলোতে বাচ্চাদের বেশি ভিটামিন খেতে দেখা যায়। মহল্লাভিত্তিক কেন্দ্রে ধীরগতিতে শিশুরা ভিটামিন এ প্লাস খেতে আসে।
চাঁদপুর পৌরসভার থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এ বছর পৌর এলাকায় ৯৫টি ক্যাম্পে ২২ হাজার ২শ’ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২০ হাজার শিশু ও ৬ মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত ২ হাজার ২শ’ শিশু। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯৫টি ক্যাম্পে ৫ জন সুপারভাইজার ও ১শ’ ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সারা দেশে একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই শিশুরা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি নীল রঙের (২ লাখ আইইউ) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের (২ লাখ আইইউ) ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিকটবর্তী টিকাদান কেন্দ্রে খাওয়ানো হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় সর্বমোট ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩শ’ ৩৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট নেয়া হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭৯ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ২শ’ ৪৭ জন। এই ক্যাম্পেইনটি সফল করার জন্য ২ হাজার ৩শ’ ৪৯টি কেন্দ্রে সর্বমোট ৩ হাজার ৬শ’ ৩৫ জন জনবল কাজ করেছে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ২ সদস্য বিশিষ্ট দল সকাল ৮টায় থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি