‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও একযোগে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন -২০১৮ এর ১ম রাউন্ড সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলায় ৭টি পৌরসভা, ৯২টি ইউনিয়নে এই ক্যাম্পেইন চলে।
এবছর চাঁদপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ১ শ’৭৬ জন। এর মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৫ হাজার ৯ শ’ ৫৯ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সের ২ লাখ ৮৫ হাজার ২শ ’১৭ জন শিশু।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা যায়, এবছর ক্যাম্পইেনটি সফল করার জন্যে ৩শ’ ৪১টি কেন্দ্র স্বাস্থ্য সহকারী, ৪শ’ ৮০টি কেন্দ্র এফডব্লিউএ, ২শ’৮১ টি কেন্দ্র সিএইচসিপি কর্তৃকসহ ২ হাজার ২শ’ ৬১ টি কেন্দ্র কর্তৃক জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়।
ওইসব স্বাস্থ্যবিভাগীয় কর্মী ছাড়াও ৩হাজার ৪শ’ ৮৩ জন স্কাউট, রোভার স্কাউট, সংস্কৃতিকর্মী, রোটার্যাক্ট ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্যগণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও সিভিল সার্জন অফিস কর্তৃক ৫শ’ ৫জন ১ম শ্রেণির কেন্দ্র তদারককারী ব্যক্তিবর্গ দায়িত্ব পালন করেন।
চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়াও লঞ্চ ঘাট, স্টীমার ঘাট, বাস স্টেশন, রেল স্টেশনসহ প্রভৃতি জণাকীর্ণ চলাচলকারী স্থানে বিশেষ ব্যবস্থায় শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হয়।
শনিবার সকাল ৮টায় চাঁদপুর পৌর সভার আয়োজনে শহরের শপথচত্ত্বর এলাকায় জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ।
এসময় তারা নিজের হাতে বেশ কয়েকজন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাইয়ে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুজ্জামান, সাবেক সিভিল সার্জন ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছসহ সিভিল সার্জন এবং পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ, চিকিৎসকদের মতে, ভিটামিন এ শিশুদের অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম