অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫২ জেলেকে আটক করেছে জেলা টাস্কফোর্স। আটক জেলেদের মধ্যে ৩৮ জনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩ জনকে ২ হাজার টাকা করে ৬ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ১১ জেলেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে যৌথ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা ও আসাদুজ্জামান সরকার।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, সোমবার মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত মেঘনা নদীতে জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নদীর হরিণা থেকে হাইমচরের মনিপুর, সাহেবগঞ্জ ও চরভৈরবী এলাকায় জাটকা ধরা অবস্থায় হাতে নাতে ৫২ জেলেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একই সময় জব্দ করা হয় ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল। জব্দকৃত কারেন্টজাল পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযানে সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, ইলিশ প্রকল্পের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মুশফিকুর রহমান, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চীফ পেটি অফিসার এম. সফিকুল ইসলামসহ কোস্টগার্ড সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় আইন অমান্য করে জাটকাসহ সকল মাছ ধরা, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারী জেলেদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,৪ মার্চ ২০২৪