চাঁদপুরের ষাটনল হতে দক্ষিণে হাজিমারা ও পশ্চিমে পদ্মার অংশসহ ১ শ’২০ কি.মি নৌ-সীমানায় ১২ অক্টোবর হতে ২ নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত ২২ দিন জাটকা ও মা ইলিশসহ সব ধরনের ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যা চাঁদপু টাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
(১) উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
(২) নদী তীরবর্তী এলাকায় জেলে পাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা করবেন।
(৩) কোনো অবস্থাতেই এ সময়ে জেলেদের নদীতে নামতে দেয়া হবেনা।
(৪) সড়ক ও জলপথে মাইকিং ও ব্যানার টানিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
(৫) কারেন্ট জাল,নৌকো,স্পীডবোট, ইঞ্জিন চালিত নৌকার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।
(৬) প্রতিদিন এবং প্রতি মূহুর্তে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে।
(৭) বাস, ট্রাক, লঞ্চ, স্টীমার নৌ-যানে সকল ধরণের ইলিশ মাছ পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
(৮) ইলিশের অস্থায়ী মজুদ বন্ধ থাকবে।
(৯) ইলিশের অভয়াশ্রমে কোনোভাবেই মাছ ধরা যাবেনা।
(১০) আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আটক জাল, নৌকা ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধিমতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
(১২) সংবাদপত্র, সাংবাদিক, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
(১৩) পাশ্ববর্তী জেলার জেলেদের চাঁদপুরের সীমানায় এসে মাছ ধরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
(১৪) রোস্টার আকারে কোস্টগার্ড,নৌ-পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট সমন্বয়ে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
(১৫) পুরো চাঁদপুরবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এ অভিযানকে সফল করা হবে।
সূত্র : চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল হাই এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত ।