চাঁদপুর শহর ও পুরাণবাজারে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট ও আইপিএল খেলার জয়-পরাজয় নিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রমরমা ক্রিকেট জুয়া চলছে। নীরবে এ ক্রিকেট জুয়া খেলে নিঃশ্ব হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজসহ সাধারণ মানুষ।
চাঁদপুরে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট জুয়া হচ্ছে শহরের পাড়া-মহল্লাসহ পুরাণবাজারের মেরকাটিজ রোড, রয়েজ রোড, নিতাইগঞ্জ রোড, লোহার পুল, দাসপাড়া ও হরিসভা এলাকায়। আইপিএল, বিপিএল ও চলমান অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলায় কোন দল হারবে কোনদল জিতবে, কে কত রান করবে এ নিয়ে চলছে দর কষাকষির রমরমা ক্রিকেট জুয়া। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়াড়িরা বিভিন্ন চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে সরাসরি ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে জুয়ার রেট নিয়ে দর কষাকষি করতে দেখা যায়।
আইপিএল রমরমা ক্রিক্রেট জুয়ার খবর পেয়ে ডিবির এসআই মনির ও এএসআই আহসানুজ্জামান লাবু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুরানবাজার নিতাইগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ক্রিক্রেট জুয়া খেলার সন্দেহে স্টেশনারী দোকানদার মোবারক নামে এক যুবককে আটক করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী অনুরোধে ডিবি পুলিশ থাকে প্রথম বারের মত সর্তক করে দিয়ে ছেড়ে দেয়।
জানা যায় পুরানবাজারের মেরকাটিজ রোডের নজুর লোহার দোকান সহ বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানে নিতাইগঞ্জে স্বর্ণকারের দোকানে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত জুয়ারিরা বসে থেকে জুয়া খেলছে। এসব দোকানের টিভিতে চলমান খেলা নিয়ে প্রতিদিন জুয়ার আড্ডা বসছে। এর পূর্বে পুরানবাজার পুলিশ ফাড়ি বহুবার ওই দোকানে এ জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দোকানের টিভি ও দোকানী নজুকে আটক করে। তবুও বন্ধ হয়নি ওই দোকানের জুয়ার আসর। এদিকে এ জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়েই চলেছে। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে জুয়ারিরা পাগলের মতো হয়ে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।
এদিকে কিছুদিন পূর্বে জুয়ার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে দাশপাড়ায় এক সেলুন কর্মচারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এছাড়া এ জুয়ার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেকেই শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এদিকে জুয়াড়ির চাইতে দালালরা লাভবান বেশি। প্রতি ১০ হাজার টাকা বাজিতে মিডিয়া করে ৫শ টাকা করে নিচ্ছে দালালরা। এতে অনেকের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে। এদিকে প্রতিনিয়ত এ জুয়া মহামারি রূপ ধারণ করছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট||আপডেট: ১০:১৬ অপরাহ্ন, ১২ এপ্রিল ২০১৬, মঙ্গলবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর