চাঁদপুর

চাঁদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পরিবেশ বান্ধব স্যানেটারি সামগ্রী

দিনে দিনে চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বেড়ে উঠছে চাঁদপুর শহরের বালু ও সিমেন্টের তৈরি পরিবেশ বান্ধব সেনেটারি সামগ্রী। বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা যায় চাঁদপুর শহরের প্রবেশ মুখে ওয়্যারলেস এলাকায় সমবায় মার্কেটসহ তার আশে পাশে এ স্যানিটেশন ব্যাবসা শুরু হয়।

এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইট,সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরি নইচা, ভেন্টি লিটার, টয়লেটের চাক্কি, ঘরের পালা, মাটির চুলা ও বন্ধু চুলাসহ বিভিন্ন সেনেটারি সামগ্রী শোভা পেতে দেখা যায়।

ওয়্যারলেস এলাকার সেনেটারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে থাকায় এসব সাজিয়ে রাখার দৃশ্য অনেকেরই দৃষ্টি কাড়ে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এসব পণ্য সামগ্রীগুলো শহরে প্রবেশকারী মানুষের চোখে পড়ায় অনেকে এখান থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করেন। একারনে আগের তুলনায় এর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে।

এসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পন্য সামগ্রী পরিবেশ বান্ধব হওয়াতে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তর।

বিশেষ করে বন্ধু চুলার ব্যাপারে তাদেরকে বেশি পরামর্শ দেয়া হয় বলে জানা গেছে।

ওয়্যারলেস এলাকার সমবায় মার্কেটের ছলেমান সেনেটারীর সত্ত্বাধিকারী মো. ছলেমান হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ওয়ারলেস এলাকায় তার দোকান ছাড়াও রেজিয়া সেনেটারি, মেসার্স রিয়া সেনেটারি এবং ভূঁইয়া ট্রেডাসসহ আরো ৫ থেকে ৭টি সেনেটারীর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি প্রায় ৮/৯ বছর আগে এখানে এই সেনেটারি ব্যবসা শুরু করেন। তার দোকানের সেনেটারি সামগ্রী তৈরি করার জন্য প্রতিদিন ৩/৪ জন শ্রমিক কাজ করে।

তিনি জানান, প্রথম প্রথম এ ব্যবসা তেমন ভালো না হলেও বর্তমানে তা মোটামুটি ভালোই চলছে। এসব সেনেটারি সামগ্রী ও বন্ধুচুলা তৈরি করাতে দেখা যায় আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন এসে ততারকি করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।

কোন সামগ্রী কত টাকা দামে বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিটি চাকতি দেড়’শ টাকা থেকে শুরু করে ৩’শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

সিমেন্টের পালা প্রতি পিস দেড়’শ থেকে শুরু করে ৪’শ সাড়ে ৪’শ টাকা দামেও বিক্রি হয়ে থাকে।

এছাড়া সিঁড়ির নইচা একেক পিস ৫০ টাকা হতে ৯০ টাকা, ভেন্টি লিটার প্রতি পিস ১২ টাকা থেকে শুরু করে ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। এর বাইরে রয়েছে মাটির বাংলা চুলা ১’শ থেকে দেড়’শ, ২শ টাকা। আর বন্ধু চুলা ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকা।

প্রতিদিন কত টাকা বেচা বিক্রি হয় তা জানতে চাইলে ছলেমান হোসেন বলেন, প্রতিদিন কখনো ৫ থেকে ৭/ ৮ হাজার টাকা বিক্রি হয়। কোনদিন আবার বিক্রি হয়নি। আবার দেখা যায় কখনো ৮/৯ হাজার টাকাও বিক্রি হয়ে থাকে।

এদিকে এসব স্যানেটারি সামগ্রী সহজলভ্য হওয়ায় চাঁদপুরের সব উপজেলাগুলোর প্রায় শতভাগ স্যানিটেশন অর্জন হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, জেলায় গড়ে ৯৭ ভাগ স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে।

চাঁদপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ কবির চৌধুরী চাঁদপুর টাইমসকে জানান , ‘ স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সাফল্য হয়েছে । পরিবেশগত দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই উম্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার প্রবণতা মানুষের ভেতর এখন আর নেই ।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ০০ এএম, ৫ জুলাই ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Share