প্রতিনিয়ত থানায় অভিযোগ আসে যুবকদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী, কলেজছাত্রীকে ইভটিজিং করা। আর এসব সংবাদ ফলাও করে প্রচারও হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) চাঁদপুর মডেল থানায় কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে চাঁদপুর মডেল থানায় ডায়েরী করায় ভিন্ন একটি ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী নং- ১৩১৯)
অভিযোগে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের আলগী পাঁচগাও গ্রামের মফিজ মিজি (ছিডা হুজুরের) মেয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স পড়–য় ছাত্রী সুমি আক্তার (২০) দির্ঘদিন থেকে একই এলাকার মোঃ হাবিব তপদারের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২২) কে মোবাইলে ও এসএমএসের মাধ্যমে উত্যক্ত করে আসছে। জাহেদুল ইসলাম ও সুমি আক্তার চাঁদপুর সরকারি কলেজে একই সাথে এইচএসসি’তে পড়াশুনা করতো এবং তারা একই গ্রামের বাসিন্দা।’
সুমি জাহেদুলকে প্রেম নিবেদন করে। জাহেদুল তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে সে প্রতিনিয়ত তার ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে আমাকে কল করে এবং এসএমএসের মাধ্যমে বিরক্ত করত। ঘটনাটি পরিবারকে জানালে এ বিষয়ে জাহেদুলের বাবা একাধিকবার এলাকার গন্যমান্যদেরকে নিয়ে সুমি ও তার পরিবারকে সতর্ক করে।
এতে ক্ষান্ত হয়নি সুমি। গত ১০ নভেম্বর সুমি জাহেদুলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। জাহেদুল তা প্রত্যাখ্যান করলে ওই দিনেই সে তাদের ঘরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ফাঁস দেয়। তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং সেখানে দু’দিন চিকিৎসা নিয়ে ৪-৫ দিন পর সুমি পুনরায় জাহেদুলকে আবার ফোন করে বলে, তার সাথে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে দেখা করার জন্য।’
জাহেদ জানায়, প্রতিনিয়ত সে বলতেছে দেখা না করলে আমাদের ঘরের আঙ্গিনায় এসে আত্মহত্যা করে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাবে বলে হুমকি দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে ২৫ নভেম্বর দেখা করতে আসলে সুমি আমাকে বিভিন্ন ভয়ভিতি দেখায় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়।’
জাহেদ আরো জানায়, ‘আমি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সুমি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ফুফাতো ভাই শামীমকে ফোন করিয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে ইভটিজিংয়ের দায়ে আমাকে গ্রেফতার করায়। পরে আমার পরিবারের লোকজন পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানালে, উভয়পক্ষকে সতর্ক করে আমাকে ছেড়ে দেয়।’
বিষয়টি অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ায়, নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) চাঁদপুর মডেল থানায় একাটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
জাহেদুলের বাবা হাবিব তপদার জানায়, ‘আমার ছেলে বর্তমানে ঢাকা তেজগাঁও ট্রেক্সটাইল ইউনিভার্সিটিতে পড়া লেখা করে। এ মেয়ের কারণে ছেলের পড়া লেখায় চরম বেঘাত ঘটতেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য সুমির মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।
নিউজ ডেস্ক ।। ১১:৫০ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ