শীর্ষ সংবাদ

চাঁদপুরে চিপস কারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে : দূষণ হচ্ছে পরিবেশ

চাঁদপুর শহরের ইচলী ফেরিঘাট এলাকার চিপস কারখানা পাটওয়ারী পটেটো ফ্লাক্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলে ডাকাতিয়া নদী ও আশপাশের পরিবেশ দূষিত করার অভিযোগ উঠেছে।

ব্যবসার ছাড়পত্রের শর্ত অমান্য করে নিয়ম বর্হিভুতভাবে কারখানার কর্তৃপক্ষ ইচলী ফেরিঘাটে খোলাস্থানে ডাকাতীয়া নদীতে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ করে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ‘যখন পটেটো কোম্পানির মেশিন চালু করা হয়, তখনি আলুর সব ধরনের বর্জ্য সরাসরি গিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে পড়ে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগ চাঁদপুর টাইমসের ফেসবুক ফ্যান পেজে পাঠকদের পক্ষ থেকে ছবিসহ পাঠানো হলে এ নিয়ে অনুসন্ধানে সত্যতা মিলে।

কারখানার দূষিত পানি এবং সিদ্ধ আলু ও আলুর ছাল যখন নদীতে পড়ে। তখন ওই ময়লা গরম পানি চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সরাসরি নদীর পানির সাথে মিশে যায়। এতে চারপাশে যেমনিভাবে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তেমনি নদীর পানিও দূষিত হয়।

এলাকাবাসির এমন দুর্ভোগের পরেও পটেটো কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নিয়মিত ডাকাতীয়া নদীতে খোলা জায়গায় তাদের বর্জ্য ফেলে আসছেন।

যদিও এ ধরনের শিল্প-কারাখান চালাতে হলে ছাড়পত্রে যে শর্ত রয়েছে তা মানছে কর্তৃপক্ষ।

কারাখান সূত্রে জানা যায়, পাটওয়ারি পটেটো ফ্লাক্স লিমিটেড কোম্পানি এ প্রতিষ্ঠানটি চালু করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন, তখন তারা শর্ত দিয়েছিলেন যে কোম্পানির সব ধরনের বর্জ নিজ ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষণ করবে, যাতে পরিবেশের দূষণ না হয়।

বর্তমানে এ কোম্পানি সে শর্ত অমান্য করে নিয়ম বর্হিভূতভাবে খোলা জায়হায় বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ করছেন। তাই এলাকাবাসি দুর্গন্ধময় পরিবেশ থেকে বাঁচতে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে পাটওয়ারী পটেটো ফ্লাক্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোঃ শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কোম্পানি তো সবসময়ই বন্ধ থাকে। এটি তেমন একটা চালু হয় না। যখন আলু আসে তখন চালু করা হয়। তাছাড়া লোকজন যে বর্জ্য ফেলার অভিযোগ করেছে। আসলে তেমন কোনো বর্জ্য পড়েনি। শুধুমাত্র কিছু কিছু পঁচা আলু এবং আলু ছাল পড়ে।

এতে তেমন কোনো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে না বলে এ কর্মকর্তা দাবি করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালে আমরা যখন চট্টগ্রাম থেকে কোম্পানির জন্য ছাড়পত্র এনেছি, তখন এমন নিয়ম ছিলো না। পরবর্তীতে খোলা জায়গায় ময়লা না ফেলার নিয়ম করেছে। তারপরেও ২০০৯ সালে একবার চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে লোকজন এসে আমাদের ময়লা ফেলার স্থানটি দেখে গেছে। তারা বলেছেন এটি পরিবেশ দূষিত হওয়ার আওতায় পড়েনি।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যামিস্ট কাজী সুমন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির ছাড়পত্র আছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখবো। এ বিষয়ে দাফতরিক ফাইল দেখে তদন্তপূর্ব ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০৩ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার
ডিএইচ

Share