Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর শহরের তিন রেস্টুরেন্টে ডিসির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাবার
বিনামূল্যে খাবার
বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করবে এ হোটেল।

চাঁদপুর শহরের তিন রেস্টুরেন্টে ডিসির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাবার

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের (ডিসি) সহযোগিতায় চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতি ও চক্ষু হাসপাতালে অর্ধেক মূল্য ছাড়ে ঔষধ, সাবান, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ডিসির পক্ষ থেকে শহরের তিন রেস্টুরেন্টে গরীব লোকজনদের বিনামূল্যে খাবার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।

হোটেলগুলো হলো, শহরের আল আরাফ হোটেল, ক্যাফে ঝিল (নতুন বাজার শাখা) ও চাঁদপুর হোটেল। জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের অভিজাত এসব হোটেলকে আগেই প্রস্তুতির জন্যে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘প্রতিদিন ওইসব দুঃস্থ অসহায় মানুষ বিনা পয়সায় হোটেলগুলোতে খেয়ে যাবে। আর দিনশেষে তার বিল নিজেই পরিশোধ করবেন জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খাঁন।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান স্যার অসহায়, হতদরিদ্র এবং খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে বেশ কয়েকটি হোটেলে জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে খাবারের ব্যবস্হা নিয়েছেন। করোনা ভাইরাস আতঙ্ক  যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এভাবে দরিদ্রদের খাওয়ানো হবে। চাঁদপুর শহরের তিনটি হোটেল আমরা বিবেচনা করেছি। আজ থেকে হোটেল কতৃপক্ষ দরিদ্রদের খাইয়ে তাদের নাম লিখে রাখবে। আমরা তাদের বিল পরিশোধ করবো।
বিনামূল্যে খাবার
এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলামান সংকট উত্তরণে চাঁদপুরে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা চালু করেছে জেলা প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে এসব লোকজনের মাঝে দেয়া হচ্ছে চাল-আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। এছাড়া হতদরিদ্র লোকজনকে অর্ধেক মূল্য ছাড়ে দেয়া হচ্ছে ঔষধ।

জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান জানিয়েছে,‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে খেটে খাওয়া হতদরিদ্র লোকজনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা,ঔষধ প্রদান, নগদ অর্থ সহায়তা সহ সকল ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে হতদরিদ্র মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

রেস্টুরেন্টে কতোজনকে খাওয়ানো হলো এবং কারা সহায়তা পেলো এসব কীভাবে নির্ধারণ বা নিয়ন্ত্রণ করা হবে এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘প্রতিদিন প্রতিটি হোটেলে ১০০ করে মোট ৩০০ জন। আলাদা রেজিস্টারে নাম ঠিকানা লিখে রাখবে। একজন দিনে একবার। দুঃস্থ লোক বাছাই করবে হোটেল মালিক। এমনটাও হতে পারে আশেপাশের কেউ দুঃস্থ লোককে পেলে নিয়ে গেলো।’

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম, ৩০ মার্চ ২০২০