প্রতীকী ছবি
চাঁদপুরে জনতা ব্যাংকের ১৭টি শাখায় চাকরিজীবী খাতে ২০২০-২০২১ চলতিবছর ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ বরাদ্দ রয়েছে। ব্যাংকের ভাষায় ইহাকে চাকরিজীবী ঋণ বলা হয়।
এ অর্থবছরে বেসরকারি স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠান,আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন, সাময়িক আর্থিক সমস্যা নিরসন, সন্তান-সন্তানাদির বিয়ে ইত্যাদির জন্যে শিক্ষক-কর্মচারীরার্ ঋণের আবেদন করে থাকেন। জনতা ব্যাংক চাকরিজীবী খাতের বরাদ্দ থেকে এ ঋণ প্রদান করে থাকে ।
রোববার ২৭ চাঁদপুর জনতা ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার দেয়া এ তথ্যে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে মতে, চাঁদপুর জেলার জনতা ব্যাংকের ১৭টি শাখায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে চাকরিজীবী খাতে চলতি বছরের ওই বরাদ্দ থেকে জুলাই হতেে সেপ্টেম্বর ২৫ তারিখ পর্যন্ত ১শ ২৭জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা বিতরণ করেছে ।
প্রতি গ্রাহককে ১২ % সরল সুদে ৪৮ মাসের মধ্যে প্রতি মাসের কিস্তিতে ওই টাকা পরিশোধ করার বিধি রয়েছে। যে কোনো চাকরিজীবী গ্রাহক প্রতিমাসের বেতনের ১২ গুণ সম-পরিমাণ টাকা ঋণের জন্যে আবেদন করতে পারেন। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এ ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
চাঁদপুর জনতা ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘জনতা ব্যাংকের এ স্কীমটি চাকুরিজীবীদের জন্যে একটি মাইলফলক।পারিবারিক নানাবিধ অর্থনৈতিক সার্পোট নেয়ার মত এটি একটি চমৎকার সুযোগ। ব্যাংক জামানতবিহীন একজন গ্রাহককে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে।
বিশেষ করে অস্বচ্ছল বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক চাকুরিজীবদের জন্যে এ স্কীমটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’সহজেই ব্যাংকের এ খাতে শতভাগ ঋণ আদায়ও সম্ভব।’
প্রসঙ্গত,জনতা ব্যাংক ২০০৪ সালে এ স্কীম টি প্রবর্তন করে। দেশের বেসকারি স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের মত চাকুরিজীবী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকগণ যে সব শাখা থেকে নিজ নিজ বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন তারাই কেবলমাত্র চাকরিজীবী খাতের ঋণ পাওয়ার যোগ্য।
এ পর্যন্ত জনতা ব্যাংক চাঁপুরের শাখাগুলো ২ ৬ হাজারেরও বেশি জনকে ঋণ দিয়েছে । যা শতভাগই আদায়যোগ্য। এখানে খেলাপি হঙয়ার কোনোই সুযোগ নেই । কেননা বেসকারি স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনভাতা যে শাখা থেকে উত্তোলন করেন সে শাখাই ঋণ প্রদান করে।
আবদুল গনি , ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
এজি
