Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে গেলো বছরে ১৪৯৩ কোটি টাকা র‌্যামিটেন্স অর্জন
tK.....
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে গেলো বছরে ১৪৯৩ কোটি টাকা র‌্যামিটেন্স অর্জন

চাঁদপুরের ৫ ব্যাংকের ৮৪ শাখাতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করেছে ১৪৯৩ কোটি ও লাভ করেছে ৭৪ কোটি টাকা। এর সাথে ইসলামী ব্যাংক চাঁদপুর শাখা ২২৭ কোটি টাকা র‌্যামিটেন্স পেয়েছে। মোট হিসেবে যা ১৪৯৩ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কৃষি ব্যাংকের ২৮ টি শাখায় জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত লাভ করেছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৪২ কোটি ১৬ লাখ টাকা ।

সোনালী ব্যাংকের ২০টি শাখায় জানুযারি- ডিসেম্বর পর্যন্ত লাভ ২৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৩১১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ।

অগ্রণী ব্যাংকের ২০ টি শাখায় জুন পর্যন্ত লাভ ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ৬১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা । জনতা ব্যাংকের ১৭টি শাখায় জুন পর্যন্ত লাভ করেছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জন করে ২৯৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা ।

চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৬০ হাজার শ্রমজীবী কাজ করছেন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র‌্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স্বজনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে।

চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এ সব র‌্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নি আন্তর্জাতিকভাবে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এ সব র‌্যামিটেন্স প্রেরণ করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে ।

অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যাবস্থাপক গীতারাণী মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘প্রবাসীরা টাকা প্রেরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাংক তার গ্রাহককে কাংখিত অংকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থের তারল্যের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক বুথের মাধ্যমেই টাকা আদায় করছে ও নতুনভাবে ঋণও বিতরণ করছে।’

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক মো.হায়াৎ মাহমুদ খান বলেন,‘বাংলাদেশ কৃষিব্যাংক গ্রাহকদের ২৬ টি সেবা প্রদান করে আসছে । লোন, মৎস্য, শস্য, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসুচির ভাতা প্রদান,আমানত,রেমিট্যান্স বিভিন্ন প্রকার হিসাব থেকে সার্ভিস চার্জ ইত্যাদি খাত থেকে এ লাভ আসে।’

সোনালী ব্যাংকের এজিএম নিখিল কৃষ্ণ নন্দী বলেন,‘সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসুচির ভাতা প্রদান, আমানত, রেমিট্যান্স বিভিন্ন প্রকার হিসাব থেকে সার্ভিস চার্জ,ডিডি কমিশন, টিটি কমিশন থেকে ব্যাংক লাভ পেয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংক ২৮ টি গ্রাহক সেবা প্রদান করে থাকে।

প্রতিবেদক: আবদুল গনি, ৭ জানুয়ারি ২০২০
ডিএইচ