চাঁদপুরে সাবিয়া বেগম (২৮) নামের দু সন্তানের জননী ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মনোহর খাদি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
সাবিহা বেগম ওই এলাকার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী এবং মতলব উত্তর বালুচর এলাকার অযিবুল্লাহ কন্যা।পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বামী ইসমাইল ও তার পরিবার গা ঢাকা দিয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গ্রামের মুকবুল আহমেদের পরিত্যক্ত ঘরের আমার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় সাবিহার লাশ উদ্ধার করি। মঙ্গলবার রাতে কোন এক সময়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।
১নং ওয়ার্ডের মেম্বার খোরশেদ বরকন্দাজ ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, নিহত সাবিহা বেগম তিনমাস ধরে বাড়ি থেকে অন্য কোথাও গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। এছাড়াও সাবিহা এবং ইসমাইলের পারিবারিক কলহ ছিল। গত পরশু এ বিষয়ে শালিস করে তাদের দুজনকে মিলিয়ে দেয়া হয়েছিল। এবং তারা দুজনই ভালভাবে সংসার করবে বলে আমাদের জানিয়েছে।
এদিকে নিহত সাবিহার ভাই পাবেল চাঁদপুর টাইমসকে জানায়,আমার ভগ্নিপতি ইসমাইল হোসেন এবং তার পরিবার প্রায় আমার বোনকে মারধোর করতেন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আমার বোন তিন মাস আগে আমাদের এক আত্মীয়র বাড়িতে চলে যায়। কয়েকদিন আগে আমরা আমার বোনকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়েছি।
গত পরশু ভগ্নিপতি ও তার পরিবার আমার বোনকে বেশ মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমরা বোনকে নিতে আসলে আমার সাথে ও তারা খুবই খারাপ ব্যবহার করে। আর গত পড়শু যে শালিস হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
পাবেল হোসেন আরও জানান,আমার বোনকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নাটক করা হচ্ছে। কারণ ঘটনার পর থেকে স্বামী ইসমাইল ও তার পরিবার গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত এবং সু বিচার দাবি করছি।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,১৬ সেপেটম্বর ২০২০