চাঁদপুরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা : ১৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ছৈয়াল বাড়ীতে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ সখিনা বেগমকে (২৭) যৌতুকের জন্য আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গত ১৫দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় হত্যার অভিযুক্ত স্বামী বাবুল ছৈয়াল, ননদ শারমিন আক্তার ও শাশুড়ী আয়েশা বেগম প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশী তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই ।

এমন লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনার পরও ঘটনাস্থলে পুলিশের কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যায়নি।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই প্রদিপ জানান,আসামীদের ধরতে চেষ্টা চলছে । আসামীদের মোবাইল কজলিস্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে । গৃহবধূ সখিনা বেগম নিহতের বিষয়টি রোববার (৫ জুনÑ আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে । চার্জশীটের সময় নারী নির্যাতন মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবেই চার্জসীট দেয়া হবে ।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে সখিনা বেগমের সুরাতহাল প্রস্তুত করেছেন শাহবাগ থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম তালুকদার । তিনি সুরাতহাল রিপোর্টে সখিনা বেগমের মৃত্যুর কারণ অগিদগ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন ।

সেই সাথে রিপোর্টে কেরোসিনের কুপি বাতি দ্বারা সখিনা বেগমের গায়ে আগুন দিয়ে অগ্নিদগ্ধের কথা বলা হয়েছে ।

এদিকে এ মামলার (মামলা নং ৫৪ ) বাদী সখিনা বেগমের ভাই জয়নাল আবেদীন তপাদার (২৮) হতাশ হয়ে পড়েছে ।

তিনি জানান, এ ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো এ মামলার কোনো আসামী গ্রেফতার হয়নি। আদৌ এ ঘটনার বিচার পাবে কিনা তা নিয়েও সে সন্দিহান ।

প্রসঙ্গত ২০ মে শুক্রবার চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ছৈয়াল বাড়ীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করে । চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর ২৫ মে সখিনা বেগমের ভাই জয়নাল আবেদীন তপাদার গত নিজে বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় এজহার দাখিল করেন (মামলা নং ৫৪ )।

এজহারে সখিনার বেগমের স্বামী বাবুল ছৈয়াল (৩৫ ) ,শাশুড়ী আয়েশা বেগম (৫৫) ও ননদ শারমিন আক্তার (২০) কে আসামী করা হয়েছিল ।

সখিনা বেগমের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কর্দিপাঁচগাঁও গ্রামে। তার দুটি শিশু পুত্র রয়েছে । একজনের নাম সিয়াম (৩ ) আরেকজনের নাম আবু হানিফ ( ১) ।

পরবর্তীতে গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটে আগুনে পোড়া সখিনা বেগম (২৭) ৬ দিন পর মারা যান ।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪:০০ এএম, ৫ জুন ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Share