গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিসভা

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সকাল ১১ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, জাতীয় দিবসগুলো যথাযথভাবে উদযাপন করতে চাঁদপুরবাসী সবসময় জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে। অনুষ্ঠানগুলোকে সফল ও সমৃদ্ধ করতে আমাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরামর্শও দিচ্ছে। আমরা আমাদের জাতীয় দিবসগুলোকে যথাযোগ্য মযাদায় উদযাপন করতে চাই।

তিনি বলেন, দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে উত্তোলন করতে হবে। জাতীয় পতাকার সম্মান দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন থেকে মনিটরিংয়ে থাকবে। সবার অংশগ্রহণে, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযোগ্য মযাদায় পালন করতে চাই।

তিনি এ অনুষ্ঠানগুলো সমৃদ্ধ করতে পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মো. মাঈনুল হাসানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম, বিশিষ্ট চিকিসৎক ও নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার সম্পাদক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর জেলা ক্যাবের সভাপতি জীবন কানাই চক্রবতী, জেলা স্কাউটের সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, জেলা কালচারাল অফিসার আবু ছালেহ মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার কানিজ ফাতেমা, চাঁদপুর মডেল থানার সিপিআই মো. হারুনুর রশিদ, জেলা মৎস্য অফিসার আসাদুল্লা বাকী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাগণ।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গত বছরের মতো এবারো দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে কবিতা আবৃত্তি, রচনা, গল্পবলা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জাতির জনকের জীবন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শিশু সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি, ধর্মীয় উপসানালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, বিভিন্ন স্কুলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।

সভায় কর্মসূচি যথাযথভাবে উদপনের জন্যে কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটিও গঠন করা হয়।

২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের এই দিনটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের রক্তপিপাসু সেনাবাহিনী ইতিহাসের অন্যতম র্বর ও কাপুরচশোচিত গণহত্যার দিবসও অন্য দিবসের মতো পালন করা হবে।

এরপর ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযোগ্য মযাদায় উদযাপনকল্পে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব ) মো. আব্দুস সবুর মন্ডল। এর মধ্যে শহরের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে অঙ্গীকার ও মুক্তিসৌধ পাদদেশে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ, সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, চাঁদপুর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ধর্মীয় উপসানালয় গুলোতে প্রার্থনার আয়োজন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।

প্রতিবেদক- আহাম্মদ উল্যাহ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:১৫ পিএম, ১ মার্চ ২০১৮,বৃহস্পতিবার
ডিএইচ