বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে নৈরাজ্য বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে শহরের বায়তুল আমিন জামে মসজিদের সামনে শপথ চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হুসাইন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী নূরে আলমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল বাকি, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল বাশার, জেলা ইমাম সমিতি সভাপতি মুফতী মাহাবুবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তারেক হাসান, চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদের, শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কারী রশিদ আহমদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মোজাম্মেল হোসেন মিয়াজী, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুব মজলিসের শহর শাখার অফিস বিষয়ক সম্পাদক শরীফ হোসাইন। শুরুতেই কোরআন থেকে তেলাওয়াত হাফেজ আনিসুর রহমান।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে বাংলাদেশের আলেম-ওলামা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করার সুযোগ পায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের মানুষের বাকস্বাধীন কেড়ে নিয়েছিল। যারাই দেশের পক্ষে, সত্যের পক্ষে এবং ইসলামের পক্ষে কথা বলেছে, তাদেরকে রাজাকার আর জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করেছে। এই জঙ্গি এবং রাজাকার শব্দটি আওয়ামী লীগ ব্যবসায় পরিণত করেছে। অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার আলেম-ওলামাদের গুম, গুণ এবং নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। সবশেষ তারা ছাত্র-জনতার বুকের গুলি চালিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লাহ ছাড় দেন তো ছেড়ে দেন না। ছাত্র-জনতার গণ-বিপ্লবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতার বিজয় হয়েছে। আজকে আমরা মুক্তভাবে মত প্রকাশ করার অধিকার পেয়েছি।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদের এই বাক স্বাধীনতা অর্জনকে ম্লান করার জন্য আওয়ামী লীগ এদেশের সংখ্যালঘু ভাই বোনদের ব্যবহার করছে। তারা ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু এবং তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করছে। অথচ বাংলাদেশের মানুষ তথা বিশ্বের গণমাধ্যম সাক্ষী গত কয়েকদিন ধরে এদেশের আলেম-ওলামা এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা দিয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলছি, আপনারা কারো ফাঁদে পা দিবেন না। যারা কথায় কথায় আলেম-ওলামাদের পাকিস্তানের দালাল বলতো, সেই আলেম-ওলামারা কিন্তু পাকিস্তান যায়নি। কিন্তু যারা ভারতের দালালি করেছে, তারা ঠিকই ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। সুতরাং আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে করে আমাদের ছাত্র জনতার অর্জনকে কেউ ম্লান করতে না পারে। বক্তারা ৫ মে শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণহত্যার সাথে জড়িত শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের ফাঁসি দাবি করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শত শত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে ইলিশ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত ছাত্র-জনতা এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১৬ আগস্ট ২০২৪
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur