চাঁদপুর

চাঁদপুরে ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি

চাঁদপুর শহরের কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন চাঁদপুর মেডিকেল হলের মালিক মোঃ হুমায়ুন কবির খানের উপর হামলা ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ মে) চাঁদপুরের ঔষধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন চাঁদপুর জেলা ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সকাল ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত কুমিল্লা রোডস্থ চাঁদপুর মেডিকেল হলের সামনে ২ ঘণ্টা দোকান পাট বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করে।

নজরুল ইসলাম শেকুল ও তার দলবল সহ হামলা ও তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় রোববার রাতেই এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচারের দাবিতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন হুমায়ুন কবির খান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোববার (২১ মে) রাত সাড়ে পৌনে ১১টায় ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সেকুল অতর্কিত ভাবে চাঁদপুর মেডিকেল হল এর প্রোপ্রাইটর মো. হুমায়ুন কবিরের উপর হামলা করেছে। এ হামলার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচার দাবি করা হয়। ৎ

বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের হামলা চলতে থাকে তাহলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দোকান পাট বন্ধ রাখা হবে। মুমূর্ষু রোগীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। আগামীতে কোন ঔষধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যদি হামলা হয় তাহলে সমিতিকে জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, সমিতির সভাপতি সাংবাদিক আহসানুজ্জামান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রুহুল আনোয়ার।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সমিতির কার্যকরি সদস্য নেহাল হোসেন মজুমদার, সুভাষ সাহা, তোফাজ্জল হোসেন তাফু।

২ শতাধিক ঔষধ ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন।
চাঁদপুর মডেল থানার অভিযোগ ও হুমায়ুন কবির খানের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, গত রবিবার রাত পৌনে ১১ টায় চাঁদপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শেকুল একদল সন্ত্রাসীসহ কুমিল্লা রোডস্থ চাঁদপুর মেডিকেল হলে হামলা চালায় এবং হুমায়ুন কবির খানের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপরাগত প্রকাশ করায় শেকুল, হুমায়ুন কবির খানের উপর চড়াও হয়ে তাকে প্রহার করে মাটিতে লুটিয়ে ফেলায় সে মাথায় মুখমন্ডল আঘাত পায়। এছাড়া তার বাম পা ভেঙ্গে যায় ও বিভিন্ন স্থানে ফ্যাকচার হয়। এ সময় হুমায়ুন কবির খান এর ডাক চিৎকারে আশে পাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে শেকুল ও তার বাহিনীর তাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনার পর চাঁদপুর জেলা পুলিশের সদর সার্কেল এএসপি আফজাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন এবং চাঁদপুর মেডিকেল হলের সিসি ক্যামেরা ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলা সম্পর্কে অবগত হন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স।

এদিকে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরএমও আসিবুল হাসান চৌধুরী তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন।

করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২ : ০ এএম, ২৩ মে ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share