Saturday, 02 May, 2015 10:03:40 PM
আবদুল গনি :
চাঁদপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৫৫ হাজার মে. টন আলু উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ মে. টন আলু সংরক্ষণের বাহিরে
জেলার ৮ উপজেলায় আলু উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে এবার ১২ হাজার ১’শ ৮৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। এতে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩শ’ ৩৯ মে. টন আলু উৎপাদন হয়েছে বলে খামার বাড়ি চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন।
জেলার আলু উৎপাদনকারীর মধ্যে রয়েছে-কচুয়ার সাচার, মতলব দক্ষিণ ও উত্তর এবং চাঁদপুর সদরের উত্তরে বেশ কয়েকটি এলাকায় ডায়মন্ড, মুন্টা, গ্রানোলা, কার্ডিনাল, এস্টারিক্স, সাগিতা ও পেক্ট্রোনিজ জাতের আলু চাষবাদ করে থাকে কৃষকরা।
এসব নতুন নতুন জাতের আলু উৎপাদনে জেলা কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এছাড়াও পরিমিত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, সঠিকভাবে পরিচর্যা, সময় মতো বীজ বপন, ভাল বীজ বুনন, ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক ঋণ প্রদান কর্মসূচীর কারণেই চাঁদপুর জেলায় এবার আলু উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে বাম্পার আলু উৎপাদন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগের দাবি।
এদিকে চাঁদপুর সদরের মহোরখাদি, পুবালী, এ্যাপোলো, বিএডিসি, মতলবের করিম ও মার্শাল, হাজীগঞ্জের মান্নান, কচুয়ার গোল বাহার নামক ১২টি কোল্ড স্টোরেজের ধারণ ক্ষমতা ৫৪ হাজার মে. টন। অথচ এবার আলু উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার মে. টন এরও বেশি।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ২ লাখ মে. টন আলু সংরক্ষনের বাহিরে রয়েছে। প্রতি বছরই উৎপাদিত আলু জেলা হিমাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার কারণে সংরক্ষেনের বাহিরে রাখতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম ‘চাঁদপুর টাইমসকে’ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আলো-বাতাস আছে এমন কক্ষে মাচায় বালু বিছিয়ে অন্ততঃ ৩-৪ মাস উৎপাদিত আলু কৃষকরা ঘরেই সংরক্ষন করতে পারে। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা চাষীদের প্রয়াজনীয় পরামর্শ প্রদান করে আসছে।’
চাঁদপুরে আলু উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলো কাছাকাছি হিমাগার স্থাপনের কথাও তিনি বলেন। এছাড়াও চাষীরা চাঁদপুর জেলার মতলবের কিছু উৎপাদিত আলু দাউদ কান্দি এবং কচুয়ার আলু কুমিল্লায়ও সংরক্ষণ করছে বলে তিনি জানান।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে এবার ১ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে ৩৬ হাজার ৯শ’ ৯৫ মে.টন, মতলব উত্তরে ৬শ’ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার মে.টন, মতলব দক্ষিনে ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ৮৭ হাজার ৫শ’ ৮৫ মে.টন, হাজীগঞ্জে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ২১ হাজার ২শ’ ৭০ মে.টন, কচুয়ায় ৪ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে ৮৭ হাজার ২শ’ ৩০ মে.টন, ফরিদগঞ্জে ১শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ৭শ’ ৬০ মে.টন, হাইমচরে ১শ’ ৫৮ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৯শ’ ৩৪ মে.টন এবং শাহরাস্তিতে ৩০ হেক্টর জমিতে ৫শ’ ৭০ মে.টন আলু উৎপন্ন হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস/ডিএইচ/এজি/২০১৫