কোরবানির ঈদ সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট। তবে ভারতীয় গরু নিয়ে হতাশ চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা। তবে দেশীও পশু মোটামুটি লাভে বিক্রি করতে পারায় কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা। দোরগোড়ায় ঈদ, তাই পশুর হাটগুলো এখন পরিপূর্ণ। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা ট্রাক ভর্তি আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু।
মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। আর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরে অগ্রিম পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। ঈদের পূর্ব মুহূর্তে খামারে পালিত মোটাতাজা গরু হাট বাজারে তুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। গৃহপালিত খামারের এসব চোখ জুড়ানো পশু চাঁদপুরের সফরমালী হাটে উঠতে শুরু করেছে।
সফরমালীর এ পশুর হাটটি প্রায় তিন দশক পুরোনো হাট। এ হাটটিতে সারা বছর প্রতি সপ্তাহের সোমবার গরুর হাট বসে। চাঁদপুর ছাড়াও পাশ্ববর্তি জেলাগুলো থেকে বেপারীরা গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে। তবে কোরবানিকে সামনে রেখে আরো জমে উঠে এ পশুর হাটটি।
এদিকে গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন দেশি গরুর চাহিদা থাকলেও ভারতীয় গরুর অপক্ষোয় রয়েছেন ক্রেতারা। হাটে প্রচুর গরু থাকা সত্ত্বেও ক্রেতারা কেউই পশু কিনছেন না। তবে ভারতীয় গরু আমদানি না হলেও দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
বাজার ব্যবস্থা কমিটির পরিচালক হুমায়ূন কবির খান বলেন,‘কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য জাল টাকা সরাক্তকরণ মেশিন রয়েছে।’ এ ছাড়া এ হাটে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি এবং হয়রানি করা হয় না। ঈদকে সামনে রেখে এখানে পুলিশের নজরদারি রাখা হবে। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চত করা হবে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম বলেন,‘প্রত্যেকটি পশুর হাটে ছিনতাই-রাহাজানি এবং চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ সজাগ থাকবে। জাল টাকা সনাক্তকরণে পুলিশের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে মেশিন বসানো হবে বলে। আমরা কোরবানীর ঈদকে নির্বিগ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি হাতে নিয়েছি।’
শরীফুল ইসলাম
২৭ জুলাই ২০১৯