চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় চলতি ২০১৬-’১৭ বছরে কৃষি ও দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯২ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। জুলাই পর্যন্ত ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে ১শ’ ৪২ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সোনালী ব্যাংকের ২০ শাখায় কৃষি ও দারিদ্র বিমোচনে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ১৭ শাখায় কৃষি ও দারিদ্রবিমোচনে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ২৮ শাখায় কৃষি ও দারিদ্রবিমোচনে ৯৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৪ শাখায় দারিদ্রবিমোচনে ১৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকে কৃষি ও দারিদ্রবিমোচনে ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বেসিক ব্যাংক কৃষি ও দারিদ্রবিমোচনে ১ কোটি টাকা ও বিআরডিবিকে ৩ কোটি ৯লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের এবারের বরাদ্দ চিত্র পাওয়া যায় নি।
এদিকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো.আবদুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে জেলা কৃষি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় কৃষি ও দারিদ্রবিমোচন খাতে সুষ্ঠু ও সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করে কৃষক ও আগ্রহী ঋণগ্রহীতাদের ঋণ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুন:অর্থায়নে ও ৪% রেয়াতী সুদে ডাল, তেল, মসলা জাতীয় ফসল ও ভূট্টা চাষে আগ্রহীদের প্রতি ঋণ বিতরণের হার বাড়ানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
কী কী শর্তে একজন ঋণ গ্রহীতা ব্যাংকের কাছে সহজে কৃষি ঋণ পেতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গীতা মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘জমি আছে ও নিজে চাষাবাদ করেন তাকেই কৃষি কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ প্রদান করে।’
রবি ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ম ৫ হাজার, সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ও ইরিবোরো চাষে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয় ।
অনেকক্ষেত্রে পুরানো ঋণের সুদের টাকা পরিশোধ করলেও বিশেষ বিবেচনায় ওই কৃষককে ঋণ দেয়া হয়।
এছাড়াও মৎস্য চাষ, পল্ট্রী খামার ,দুগ্ধ উৎপাদন ,ডাল,তেল ও মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে ব্যাংক আগ্রহীদের ঋণ প্রদানে বদ্ধপরিকর বলে তিনি তাঁর মতামত প্রদান করেন। বর্গাচাষিরাও কৃষি ঋণ পাবেন।
প্রসঙ্গত, সরকার কৃষি উৎপাদনে বিদ্যুৎ খাতে ২০ %ভর্তূকি ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং সার ,বীজ ক্রয়ে কৃষকদের প্রণোদনা প্রদান ,সহজভাবে কৃষি উপকরণ বিতরণ প্রভৃতি খাতে সহায়তা প্রদান করছে। জরিপ ১ ও ২ মৌসুমে কৃষিবিদরা নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ, প্রদর্শনী খামার ও সার্বিক সহায়তা প্রদান করে থাকেন ।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০০ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur