চাঁদপুরে ৮ উপজলোয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৩৮ কোটি ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা কৃষি উৎপাদন খাতে ও দারিদ্রবিমোচনে খাতে ১০ কোটি ৭০ লাক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাদ্দ দিয়েছে।
অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছরে ৩০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দ রয়েছে । গত আগস্ট পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৪ শ ৮২ জনের মধ্যে বিতরণ করেছে ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা কৃষি কমিটির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রতি অর্থবছর বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের তফশীলি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে কৃষি ও দারিদ্রবিমোচন খাতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে ।সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংকসমূহ অনুপাতিক হারে ও চাহিদা পূরণে ঔ বরাদ্দ ভাগ করে দেয়া হয় । সকল খাতে কীভাবে ঋণ প্রদান করা হবে তারও নীতিমালা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলার কৃষিঋণ কমিটির এক র্ভাচৃূয়াল সভায় সব ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভায় জেলার অভিভাবক ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের উপস্থাপিত তথ্যে এ বিষয়টি জানানো হয় এবং কৃষিঋণ কমিটি প্রতিমাসের সভায় অগ্রগতি সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, সোনালী,অগ্রণী,জনতা,বাংলাদেশ কৃষি,রূপালী, বেসিক,কর্মসংস্থান,বিআরডিবি ও চাঁদপুরের বেসরকারিভাবে পরিচালিত ২০ টি ব্যাংকে ওই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বা সরকারিভাবে পরিচালিত ৭টি ব্যাংকে ও বেসরকারি ২৪টি ব্যাংকে কেবল মাত্র কৃষি উৎপাদন খাতে ২৩৮ কোটি ২ লাখ টাকা বিতরণের নির্দেশ রয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে,ফসল ঋণে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, সেচ খাতে ৩ লাখ , ডেইরি খাতে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৭৩ হাজার, পোল্ট্রি খাতে সাড়ে ১৫ লাখ, মৎস্য চাষে ১ কোটি ৪২ লাখ,কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণে ৩ কোটি ১৮ লাখ ,দারিদ্রবিমোচনে ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং বিবিধখাতে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলার ২৪টি বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে কমবেশি ঋণ পাওয়া যাবে ন্যাশানাল, ইসলামী,পূবালী,উত্তরা,আল-আরাফা ,শাহজালাল,ফাস্ট সিকিউরিটি ,এবি ,দি সিটিি ইউনাইটেড,ব্র্যাক ,মার্কেন্টাইল ,এনসিসি,সোস্যাল ,প্রাইম,ব্যাংক এশিয়া, পদ্মা ,ডাচ,যমুনা, ট্রাস্ট ও স্ট্রান্ডার্ড ব্রাংক সমূহ।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখাগুলো ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪% সুদে‘ডাল,তৈলবীজ,মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা’ চাষাবাদের জন্যে ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ঠ একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন কৃষকের ঋণ পাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে তার অবশ্যই চাষাবাদ উপযোগী জমি থাকতে হবে। বর্গ চাষীরাও জমির মালিকগণের অনুমতিপত্র সহ আবেদন করলে ঋণ পাবেন । অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন মৎস্য,গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি প্রতিপালনে সর্ব্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ।’
প্রসঙ্গত, ব্যাংকগুলো কৃষি উৎপাদন,সেচযন্ত্র ক্রয়,পাওয়ারটিলার ক্রয়,গরু মোটাতাজাকরণ,পল্ট্রীফার্ম,গাভীপালন,মৎস্যচাষ,শাক-সবজি উৎপাদন ও রবিফসল করতে কৃষকদের সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ প্রদান করবে। সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে বর্গাচাষীদেরও কৃষিঋণ প্রদান করার নির্দেশ রয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণ প্রদানের বেলায় জমি আছে ও নিজে চাষাবাদ করে এমন কৃষকদের ব্যাংকের মাঠ সহকারীগণ তাৎক্ষণিকভাবে ঋণ দেবার প্রস্তাব করলে ব্যাংক ৯% সরল সুদে কৃষি উৎপাদন খাতে ঋণ বিতরণ করে থাকে ।’
আবদুল গনি , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০