চাঁদপুর দেশের অন্যতম কৃষি প্রধান অঞ্চল।এ জেলার আয়তন ১ হাজার ৭শ’বর্গ কি.মি। প্রায় ২৬ লাখ মানুষের অধ্যূষিত চাঁদপুর জেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী।
ধান, পাট, গম, আলু ,সরিষা, সয়াবিন, আখ ও বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি এ জেলার প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য। মেঘনা,পদ্মা, ডাকাতিয়া ও মেঘনা ধনাগোদা এ ৪টি নদী চাঁদপুর জেলার কোলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে।
নদীগুলি কৃষিপণ্য, মৎস্য, যাতায়ত,পরিবহন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সভ্যতার বিকাশে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা- ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নামে দু’টো সেচ প্রকল্পের আওতায় জেলার ৪টি উপজেলা রয়েছে।
এ গুলির মধ্যে চাঁদপুর সদর,ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও হাইমচরে প্রায় ২৩ হাজার ৩শ’ ৯০ হেক্টর আবাদী জমি রয়েছে। সেচ প্রকল্প দু’টোতে ইরি-বোরো উৎপাদন, মৎস্যচাষ, শাক-সবজি উৎপাদন, কুঠির শিল্পজাত দ্রব্য তেরি,নানাবিধ ফলফলাদি সহ নতুন নতুন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জেলাবাসীর আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।
যাতায়ত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে চাঁদপুর জেলা অনেক উন্নত। আকাশপথ ব্যতীত চাঁদপুরের সাথে দেশের অন্যান্য জেলার সড়ক,রেল ও নৌ-পথের একটি চমৎকার সংযোগ রয়েছে। যার ফলে দিন দিন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রের পরিধি বাড়ছে।
চাঁদপুর একটি নদীভাঙ্গন, নদীসিকস্তি ও নদীবিধৌত জেলা। চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর ও হাইমচর এ তিন উপজেলার ২০ ইউনিয়ন নদীভাঙ্গনের শিকার বিধায় তাদের জীবন যাত্রার মান খুবই নিম্নমান সম্পন্ন ।
মেঘনানদীর তীর ঘেঁষা ও চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা চলে প্রকৃতির নানা দুর্যোগ ও ঋতু বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে। কৃষি, শাক-সবজি উৎপাদন, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু প্রতিপালন তাদের প্রধান জীবিকার অবলম্বন। তাই তাদের ফসল উৎপাদনে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা অপরিহার্য ।
কোনো কোনো পরিবার কৃষি ও মৎস্য শিকারের ওপর নির্ভরশীল । চরাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারের নারী- পুরুষ সমানতালে শ্রম দিয়ে চলছে। এ সব ইউনিয়নের জনপ্রনিধিদের দায়িত্ব হলো চরাঞ্চলবাসীর জীবন মান উন্নয়নে কাজ করা। কেননা -জেলার সিংহভাগ কৃষি পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করে জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
সুতরাং, আমরা সর্বদাই কৃষি ও কৃষকবান্ধব পরিবেশের জন্য সহজলভ্য কৃষিঋণ ,উপকরণ , তাদের জীবন মান উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির সঠিক বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছি ।
সম্পাদকীয় : আপডেট বাংলাদেশ সময় ৩:৫৫ পিএম, ১৬ মে ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ