চাঁদপুর

চাঁদপুরে কুরবানির পশু সঙ্কট : দাম চড়া

এম এ আকিব || আপডেট: ০২:১১ অপরাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫,  সোমবার

 

পবিত্র ঈদুল আযহায় এবার চাঁদপুরে কুরবানির পশুরহাটে মিয়ানমার ও ভারতীয় গরু না থাকায় দেশীয় গরুর নির্ভরতা বাড়ছে। বিগত ক’বছর এ ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করে মূলধন খোয়ানোর ফলে অনেকেই গুটিয়ে নিয়েছেন তাদের ব্যবসা। ফলে চাঁদপুরের কুরবানির পশুর হাটগুলোয় দেখা দিয়েছে গরুর সংকট। যার প্রভাবে ১০-১৫% হারে গরু প্রতি দামও বেড়েছে। তবে শেষমুহূর্তে মিয়ানমার ও ভারতীয় গরু আমদানি হলে পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব।

চাঁদপুর শহরের আশপাশের সর্ববৃহৎ কুরবানির পশুরহাট বাগাদী চৌরাস্তায় অন্যান্য বছর শুধু ফরিদপুর থেকেই যেখানে শতাধিক বেপারী কুরবানির পশু নিয়ে আসতো এ বাজারে। এবার সেখানে মাত্র ৪০/৫০জন বেপারী এসেছে। বিগত বছর এ বাজারে ফরিদপুরের এসব বেপারীরাই গরু এনেছিলো প্রায় ১২ শতাধিক। এবার তারা মাত্র ৭৫০টি গরু এনেছেন। এমন চিত্র প্রায় সকল পশুর হাটেই বিরাজমান।

বাজারে গরুর এমন সংকটের কারণ জানতে চাইলে বাগাদী চৌরাস্তা বাজারে বিগত ৩০/৩৫ বছরের পুরোনো ব্যবসায়ী ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ময়না বেপারী এ প্রতিবেদককে জানান, ‘এবার ভারতীয় গরুর আমদানি কম থাকায় এবং বিগত কয়েক বছর দেশী গরুর সঠিক মূল্য না পাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ধরা খেয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে এবার বাজারে গরুর সংকট দেখা দিয়েছে।

মিয়ানমার ও ভারতীয় গরু ব্যাপক হারে দেশে আসছে এমন খবর সম্পর্কে এ বেপারী জানান ‘এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর। আমি নিয়মিত বেনাপোল ও মিয়ানমার সীমান্তে খোঁজখবর রাখছি। এখন পর্যন্ত এমন খবরের সত্যতা পাইনি।’

গরু কম থাকায় বাজারে কী ধরনের প্রভাব পড়েছে জানতে চাইলে এ বেপারী বলেন, স্বাভাবিকভাবে বাজারে গরু কম থাকায় দাম চড়া। বিগত বছরের তুলনায় এবার গরু প্রতি ১০ থেকে ১৫% দাম বেশি।

ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার আরেক ব্যবসায়ী সামাদ বেপারী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেক বেপারী গত বছর লোকসান দিয়ে এবার এখানে আসেনি।’

সামনে আর কোনো বেপারী আসার সম্ভাবনা আছে কী না জানতে চাইলে এ বেপারী বলেন, যারা আসার তারা সবাই চলে এসেছে। আর কোনো বেপারী আসার সম্ভাবনা নেই। তবে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা হয়তো শেষ মুহূর্তে আসতে পারে।

এ ব্যাপারে চৌরাস্তা কুরবানির পশুর বাজার কমিটির সদস্য নুরুল আমিন এ প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় কিছু বেপারীরা শেষমুহূর্তে বাজারে গরু আনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সে সংখ্যাটা খুবই কম হতে পারে।

এদিকে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন কুরবানির পশুরহাটে দু’একজন ক্রেতা দেখা গেলেও কাউকে ক্রয় করতে দেখা যায়নি। দাম চড়া এমন অজুহাতে শেষ মুহূর্তে বাজারের অবস্থা কি হয় সেটি দেখার অপেক্ষায় ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। এখন পর্যন্ত কোনো বেচাকেনা না থাকায় অনেকটাই হতাশা ব্যক্ত করেছেন বেপারীরা।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share