চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কোটরবাদ এলাকায় এক কিশোরী শ্রমিককে রাতের আঁধারে ‘জোরপূর্বক ধর্ষণের’ অভিযোগে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুবককে গ্রেফতার করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
আটককৃত যুবক ওই এলাকার আলী আহমদ গাজীর ছেলে সজিব (১৮) ও অপর দু’জন পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কিশোরীর মা সজিবকে প্রধান আসামী করে আরিফ ও সজলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা (নং- ৪৮, ২৭/০৯/২০১৬) দায়ের করে।
কিশোরীর মা চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘আমি মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। মেয়েকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।’
মামলা বিবরণে জানা যায়, মুন্নি (ছদ্মনাম) একটি প্লাস্টিক কারাখানা চাকরির সুবাধে তার পরিবারের সাথে ঢাকায় বসবাস করে। মুন্নির বাবা তাদেরকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় তাকে অপ্রাপ্ত বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। সম্প্রতি কিশোরী তার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য পরিবারের সাথে গ্রামের বাড়ি কোটরাবাদ এলাকার গফুর গাজী বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঘটনার দিন ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে মুন্নি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে অভিযুক্ত সজিব তাকে ‘মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ’ করে। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এসে সজিবকে হাতেনাতে ধরলেও তার ভাই আরিফ ও বোন জামাতা সজল স্থানীয়দেরকে ‘মারধর করে’ ছাড়িয়ে নেয়।
পরে মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুজ্মামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে।
এসআই রাশেদুজ্জামান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘পুরাণবাজার বউ বাজার থেকে সজিবকে আটক করে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, অন্য দু’জনকেও আটকর করা হবে। ’
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালি অলি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, মূল আসামীকে আটক করা হয়েছে, সহযোগী হিসেবে বাকিদেরকেও আটক করার চেষ্টা চলছে।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য সংগ্রহে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, কিশোরীর পরিবারের সাথে অভিযুক্ত পরিবারের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৫:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ
