চাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘরের সৌন্দর্য বর্ধনে কাগজ ও ভাতের মাড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ফুলধানীসহ বিভিন্ন হস্তশিল্প।
ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনে এইসব হস্তশিল্পের ব্যপক চাহিদা ও প্রতিনিয়ত এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
মেলাগুলোতে ছোটখাটো স্টলগুলোতে মাঝে মাঝে এসবের দেখা মিললেও বাজারজাতকরণ ও সঠিক নির্দেশনার অভাবে এটি ব্যাপক হারে চড়াচ্ছে না।
বাজারজাতকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এ হস্তশিল্পটিও হতে পারে একাধিক পরিবারের একমাত্র উর্পাজনের মাধ্যম, এসব শিল্পীরা পাবে পেশাগত সম্মান।
চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায় তরুণী ও গৃহবধূরা সংসারের কাজ কর্মের ফাঁকে ফাঁকে অকেজো কাগজ দিয়ে তৈরি করছেন টেবিল ফুলধানী, ফুলের টব, কলমধানী, চামচ রাখার পাত্র, ডিমের ভাটি, আপেলের বাটিসহ ঘরের সাজিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকার হস্তশিল্প। আর সেগুলোকে রং দিয়ে রাঙিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনে সাজিয়ে রাখছেন ঘরের ভেতর।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণসাখুয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায় কয়েকটি পরিবার এ পেশার সাথে জড়িত।
গ্রামের সরকার বাড়ির খাদিজা আক্তার সাথী নামের এক গৃহবধূকে কাগজ দিয়ে এসব জিনিসপত্র তৈরি করতে দেখা যায়।
এসব শিল্প তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে তার সাথে আলাপকালে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, যে কোনো ভারী কাগজ, কিংবা বিস্কুটের কার্টুন প্রথমে দীর্ঘসময় ধরে পানিতে বিজিয়ে রাখতে হয়। ভিজিয়ে রাখা সেই কাগজ নরম হলে পাকাস্থানে ঘষে তা মিশিয়ে নেন। তারপর সেগুলো কাপড়ে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করে পানি শুকিয়ে নেয়ার পর পরিমান মতো ভাতের ভারী মাড় মিশিয়ে নেন।
এরপর যে কোন সমানস্থানে অথবা সমান কোন পাত্রের ওপর রেখে আস্তে আস্তে ভাতের মাড়ের সাথে মিশানো সে কাগজ দিয়ে তৈরি করেন এসব জিনিসপত্র। প্রথমে যতটুকু করা হয়, ততোটুকু রোদে শুকানোর পর পুনরায় আবার নতুন করে ওপরের অংশে সে কাগজের প্রলেপ দিতে হয় । এভাবে বানানো ওই জিনিসগুলো কয়েকদিন রোদে ভালো ভাবে শুকানোর পর তা বিভিন্ন কালারের রং ব্যবহার করা হয়। এভাবেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় ফুলধানীসহ হরেক রকম হস্তশিল্প তৈরি হয়।
গ্রামের অঞ্চলে এসব জিনিসপত্র তৈরি করার কয়েকজন গৃহবধূ জানান এরকম একটি ফুলের টব তৈরি করতে প্রায় ৫/ ৭ দিন সময় লাগে। কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে গেলে প্রচারণা ও ক্রেতাদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেক সময় ভালো মূল্য পাওয়া যায় না।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ০০ এএম, ৭ মে ২০১৭, রোববার
ডিএইচ