চাঁদপুরে করােনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হলেও সাধারন মানুষের মাঝে বাড়ছে না কোন সচেতনতা। চাঁদপুরসহ ৩১ জেলা রয়েছে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে।
চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দেখা যায় মাস্ক ব্যবহার এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলছেনা অধিকাংশ মানুষ। রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, হাট বাজার, খাবার হোটেল সর্বত্রই জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। চাঁদপুরে দিনদিন করােনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলেও শতকরা ১০ পার্সেন লোক মাস্ক ব্যবহার করছেন না। একই সাথে জনসমাগম এড়িয়ে চলছেনা কেউ। তাই দিন,দিনই চাঁদপুরে করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন… চাঁদপুরে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ, গণজমায়েত নিষিদ্ধ
খবর নিয়ে জানা গেছে, গত সােম, মঙ্গল ও বুধবারে তিন দিনে জেলায় আরাে ৭১ জনের করােনা শনাক্ত হয়েছে।এরমধ্যে মঙ্গলবার একদিনে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসােলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১জন করােনায়আক্রান্ত ছিলেন। অন্যজন প্রচন্ড শ্বাসকষ্টসহ করােনার নানা উপসর্গে ভুগছিলেন।
এছাড়া গত দশ দিনে (২১-৩১মার্চ) পর্যন্ত জেলায় করােনায় আক্রান্ত রােগী শনাক্ত হয়েছেন ২২৪জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৩ জন।
এদিকে চাঁদপুরে বৃহস্পতিবার একদিনে ৪১জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তসহ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২১০জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৯৩জন। সুস্থ হয়েছেন ২৮৩১জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৮৬জন। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২০জন। বাকীরা হোম আইসোলেশনে আছেন। ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার স্যাম্পল জমা দিচ্ছেন শত শত মানুষ। এরমধ্যে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। ধারনা করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত অনেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আওতার বাইরে রয়েছেন।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা মনে করছেন এক্ষনই যদি জনসচেতনতা সৃষ্টি না করা হয় তাহলে চাঁদপুরের করোনা পরিস্থিতি খুবই দ্রুত গতিতে আরো ভয়াবহতার দিকে যাবে। রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ট, হাট বাজার সবস্থানেই যদি জনসমাগম রোধ করা দরকার।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল সহ একাধিক চিকিৎসকরা বলেন, চাঁদপুরে শতকরা ৯০ পার্সেন লোকই ঠিকমতো মাস্ক ব্যবহার করছেনা। অধিকাংশ মানুষ স্বস্থ্যবিধির বাহিরে জনসমাগম এরিয়ে চলছে না। তাই দ্রুত গতিতে চাঁদপুরের করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি। তাহলে হয়তো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমে আসবে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২ এপ্রিল ২০২১