২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুন) রাতে ও বুধবার (৩ জুন) সকালে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড ও বাড়িতে তাদের মৃত্যু হয়।
এরা হলেন- পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের ভূঁইয়া (৬০), আব্দুর রাজ্জাক (৭০), লাকী বেগম (৩৪), মজিবুর রহমান (৭০) ও জাহাঙ্গীর আলম (৬০)।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. এএইচএম সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, বুধবার সকালে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সদর উপজেলার কল্যান্দী গ্রামের লাকী বেগম নামে এক নারী মারা যান। এছাড়া মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম বাগাদী গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের ভূঁইয়া ও রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার কল্যান্দী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মারা যান। মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করে মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে।
অপরিদকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামে ৭০ বছর বয়সী মজিবুর রহমান মারা যান। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
এদিকে মজিবুর রহমানের মরদেহ সারারাত বাড়িতে পড়ে থাকলেও এলাকার কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ সহযোগিতা না করায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন নিজে এসে উপজেলা দাফন-কাফন কমিটির সহযোগিতায় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় মরদেহ দাফন করেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন বলেন, হাজীগঞ্জের বলিয়ার মজিবুর রহমানের মরদেহ রাতে বাড়িতে পড়ে থাকলেও এলাকার কোনো জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেননি। ভোরে নিজে গিয়ে তাদের ফোন করি। তবুও তারা আসেননি। পরবর্তীতে রিপোর্ট করার কথা বললে তারা এগিয়ে আসেন।
তিনি আরও বলেন, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের দাফন-কাফনে এগিয়ে আসা সামাজিকভাবে সবার কর্তব্য। অবহেলা করে দূরে থাকা, অন্যদের দাফন-কাফনে আসতে নিষেধ করা এটা সমাজের প্রতি অনীহা। এদের সামাজিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
বার্তা কক্ষ, ৩রা জুন ২০২০