চাঁদপুর

চাঁদপুরে এলে দু’ব্যাগ থেকে হয়ে যায় তিন ব্যাগ -ভিডিওসহ

সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের হাট-বাজারের ফলের দোকানগুলো এখন ভিনদেশি বেবি কমলায় সয়লাব হচ্ছে। দেখতে আকর্ষণীয় ও সুন্দর জালি ব্যাগে ছোট ছোট সাইজের এ কমলা ভোক্তাদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়।

বাজারে অন্যান্য ফল থাকলেও স্বাদে ভরপুর, সুমিষ্ট এবং অনেগুলো এক সাথে থাকায় বেবি কমলা যে কোনো ক্রেতাকে সহজেই আকৃষ্ট করে।

এর প্রতি জালি ব্যাগে প্রায় ৫০টি কমলা থাকে। যা বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’ ২০ টাকা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুরে যে বেবি কমলা বিক্রি হচ্ছে তাতে জালি ব্যাগে ভর্তি মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টি কমলা পাওয়া যায়।

এই রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, চাঁদপুরের অসাধু ফল বিক্রেতারা ঢাকা থেকে কমলাগুলো তাদের দোকানে এনেই নেটের জালি ব্যাগ খুলে সেখান থেকে গড়ে প্রায় ১৫টি কমলা সরিয়ে নিচ্ছে। আর সরিয়ে ফেলা কমলাগুলো নতুন জালি ব্যাগে একই দামে বিক্রি করছে।

রোববার ২২ ডিসেম্বর শহরের কালিবাড়ি এলাকায় পুলিশ বক্সের পেছনের একটি ফল দোকানিকে লুকিয়ে এই কাজ করতে দেখা যায়। এই প্রতিবেদকের সামনেই ফল ব্যবসায়ী জালি ব্যাগখুলে কমলা সরাতে থাকেন।

ক্রেতাদের ঠকানো জন্য এ কাজ কেনো করছেন জানতে চাইলে ওই ফল বিক্রেতা জানায়, ‘ আমরা একাই এই কাজ করি না, বাজারে যতো চায়না ফল দেখেন সবাই আগে জালি ব্যাগ খুলে কিছু কমলা সরিয়ে নেয়। কারণ কাস্টমার এক ব্যাগ কমলা ৮০ টাকা থেকে ১শ’ টাকার বেশি দাম দেয় না। আর এক ব্যাগ কমলা আমাদের একশ’ টাকার বেশি কেনা পড়ে।

একই কথা জানিয়ে পাশের আরেক দোকানি বলেন, ‘আমরা কি করুম ভাই, কাস্টমার অনেক চালাক, তাই বাধ্য হয়ে আমরা এই কাজ করি’।

এ বিষয়ে ক্রেতাদের সাথে আলাপ হলে তারা জানায়, নেটের ব্যাগে সুরক্ষিত, সহজে বহনযোগ্য, সুস্বাদু এবং দাম কম হওয়ায় বাজারে এ ফলের দারুণ চাহিদা রয়েছে। অন্য ফলের দাম বেশি হওয়ায় নতুন প্রজাতির চায়না বেবি কমলার চাহিদা বাড়ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ফল বিক্রেতারা আমাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। তারা ন্যায্যমূল্যে ফল বিক্রি করুক, এতে যার পছন্দ হবে সে কিনবে। কিন্তু এমন প্রতারণা কোনো ভাবেই ঠিক না।

এদিকে সচেতন ক্রেতাদের দাবি, এই বেবি কমলা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।

ভিডিওটি দেখুন…

আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Share