চাঁদপুর

চাঁদপুরে সয়াবিনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৩ হাজার মে.টন

চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।সয়াবিন বর্তমানে একটি অন্যতম ফসল হিসেবে খ্যাত।

চলতি বছরও এ জেলার ৩ টি উপজেলায় এ সয়াবিনের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইমচরে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন চাষাবাদ হয়ে থাকে। চাঁদপুরে ধান, পাট,আলু,সয়াবিন, পেঁয়াজ,রসুন,সরিষা এর পরে সয়াবিনের স্থান ।

এ বছর চাঁদপুরের ২ উপজেলায় হাইমচর ও ফরিদগঞ্জে ৩ হাজার ৮০০ মে.টন সয়াবিন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২,০০০ হেক্টর ।

আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা,বীজ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ,ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষিরা ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করছে।

বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলিতে ব্যাপক হারে সয়াবিন উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দু:খের বিষয়-নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো। চরাঞ্চলগুলো হলো-চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর,জাহাজমারা,ফতেজংগপুর,হাইমচরে  নীলকমলের ঈশানবালা,চরগাজীপুর, মনিপুর,মধ্যচর,মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে,ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ১০০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯০ মে.টন।

হাইমচরে চাষাবাদ ১,৫৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২,৯৮৩ মে.টন।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর কৃষি বিভাগের কৃষিবিদ আবদুল মান্নান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘চাঁদপুর জেলার মধ্যে হাইমচরেই সবচেয়ে বেশি সয়াবিন হয়ে থাকে। চরাঞ্চলের কারণে সেখানকার আবহাওয়া ও মাটি সয়াবিন চাষের উপযোগী।

সয়াবিন বর্তমানে দেশের একটি অর্থকারী ফসল হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে । সয়াবিন কেবলমাত্র পশু ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় কৃষকরা যথাযথ মূল্য পাচ্ছে না ।’

আবদুল গনি, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share