চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭ হাজার ৮ শ ৭০ মে.টন ধান-চাল ক্রয় হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ হাজার ১শ ৯০ মে.টন ।
এর মধ্যে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৬ শ ৯৫ মে.টন ।
সেক্ষেত্রে ক্রয় করা হয়েছে ৫ হাজার ৫শ ৪০ মে.টন অপরদিকে সিদ্ধ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৪ শ ৯৫ মে. টন । জেলার ১৯ জন ডিলারের সাথে চুক্তি সম্পাদন ছিল ৫ হাজার ২শ ২৪ মে. টন । অথচ ক্রয় হয়েছে ২ হাজার ৩ শ ৩০ মে.টন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর টাইমসকে এ তথ্য জানান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ,করোনা পরিস্থিতির কারণে,শ্রমিক সংকট,বাজার মূল্য ও উৎপাদন হওয়া সত্বেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি । বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কৃষক ধান -চাল বিক্রি না করে তারা মজুত করেছে এবং এবং প্রকৃতপক্ষে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য কিছুটা বেশি থাকায় তারা এ ধান- চাল বিক্রি করেনি।
প্রসঙ্গত , নিরাপদ খাদ্য আইন ২০০৩ আইন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানান-বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ১০ অক্টোবর ২০১৩ সালে দেশের নাগরিকদের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুমোদন করে সরকার ।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন,আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ ,মজুত,সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান এবং নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয় ।
আইনের আলোকে ও গ্রহীত উৎকৃষ্ট পন্থায় খাবার সব সময় এবং সকলের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাদ্য পৌঁছানো একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা ২০১৩ এর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন মোতাবেক নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন পূর্ণাঙ্গভাবে জাতীয় নিরাপত্তা খাদ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়েছে।
চাঁদপুরেও প্রতি বছরের ন্যায় ২ ফেব্রুয়ারি‘জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ‘ পালন করা হয় বলে জানা গেছে ।
আবদুল গনি , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০