ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে সাফল্যের পর চাঁদপুরের পুরান বাজারের সোহেল মিয়াজী এবার টার্কি মুরগি পালন করে সাফল্য পেতে শুরু করেছেন। তিনি নিজ বাড়ির আঙিনার পতিত জমিতে টার্কি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন।
সোহেল মিয়াজী পুরানবাজার পূর্ব শ্রীরামদী তৈয়ব আলী মিয়াজীর ছেলে। ডাকাতিয়া নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে ২০১৫ সালে সিটি ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি।
এবার সোহেল টার্কি মুরগি পালন শুরু করে সাফল্য দেখছেন। নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ২টি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮ হাজার টাকায় ১৫টি বাচ্চাসহ মোট ১৭টি টার্কি মুরগি কেনেন তিনি। এছাড়া দেড় লাখ টাকায় খামারের সেড নির্মাণ করেন।
মোট ২ লাখ টাকার পুঁজি লাগিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। মাত্র ৭ মাসেই তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে এখন ৫ শতাধিক টার্কি মুরগি রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকার অধিক। প্রতিটি বড় টার্কি ২৫শ টাকা ও আড়াই মাস বয়সী টার্কি ১৭শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোহেল নিজেই টার্কির দেখাশোনা করেন। পাশাপাশি তার বাবা তাকে সহযোগিতা করেন। তার দাবি টার্কি চাষ করে দ্বিগুণেরও বেশি লাভ করা যায়। তাই বেকার যুবকরা বসে না থেকে নিজ বাড়ির পতিত জমিতে টার্কি পালন করতে পারেন।
সোহেল বলেন, ‘ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটর নামে একটি যন্ত্র রয়েছে। এ মেশিনে একসঙ্গে ৩০০ ডিম দেয়া যায়। ২৮-৩০ দিনে এখানে বাচ্চা ফোটে। তার খামার থেকে প্রতি সপ্তাহে ৩০-৩৫টি ডিম পাওয়া যায়। সবগুলো ডিম দিয়েই তিনি বাচ্চা ফোটান।’
সোহেলের বিশ্বাস সরকারি সহায়তা পেলে তিনি তার খামারকে দেশের টার্কি খামারের একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। (জাগো নিউজ)
নিউজ ডেস্ক
১১ অক্টোবর,২০১৮