Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে একই পরিবারের সকলকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ চুরি
স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ চুরি, ভরি স্বর্ণালংকার

চাঁদপুরে একই পরিবারের সকলকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ চুরি

চাঁদপুরে একই পরিবারের সকলকে স্প্রের মাধ্যমে অচেতন করে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৫ জুন বৃহস্পতিবার চাঁদপুর পৌর ১৩ নং ওয়ার্ডের মুন্সিবাড়ি রোডের উকিলপাড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় চোরের দল জানালার গ্রিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে, আলমারির তালা ভেঙে প্রায় ১৮ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৩টি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অচেতন হওয়া পরিবারের সদস্যরা হলেন মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০), বড় ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) ছোট ছেলের বৌ- রাবেয়া সুলতানা (২১)।তারা সকলেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ভুক্তভুগী পরিবারের সদস্য আমিনুল ইসলাম জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে ছিলো। রাতের কোনো এক সময় চোরচক্র বাড়ির দুই পাশের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা, আমাকে, আমার স্ত্রী, আমার মা, বড় ভাইকে অচেতন করে চারটি রুমের বিভিন্ন আলমারির ড্রয়ার খুলে প্রায় ১৮ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৩টি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। বিষয়টি আমরা চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করেছি।

বাড়ির গৃহকর্ত্রী নাজমা বেগম জানায়, ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে আমার শরীর দুর্বল লাগছিলো। অযু করে হিজাব পড়তে গিয়ে দেখি আমার গলার চেইন নেই। এরপর দেখতে পাই আমাদের ঘরের আলমারি সব খোলা, জামাকাপড়, ড্রয়ার, গহনার বক্স সবকিছুর তছনছ করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তিনি আরো জানান, গত তিন মাস আগে আমার ছোট ছেলের বিয়ে হয়েছে। চোর আমার দুই ছেলের বউ এবং মেয়ের গহনাগাটি যা ছিল সব কিছু নিয়ে গেছে।

চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিকুল আফসার জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্তের স্বার্থে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি।

এদিকে স্থানীয়রা জানায়, এই এলাকায় কিছুদিন পরপর চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। এর আগে গত ৬ জুন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজিজুল হক হিমেলের বাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটে। তারা আরো জানায়, এই এলাকার আশপাশে কিছু চিহ্নত মাদকসেবী রয়েছে। এলাকাটি নির্ঝন হওয়ায় তারা সন্ধ্যার পর বিভিন্ন বাসাবাড়ি সামনে বসে মাদক সেবন করে থাকে। তাদেরকে কিছু বললে তারা ভয়-ভীতি দেখায়। এসব চুরির ঘটনার সাথে এই মাদকসেবীরা জড়িত থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী সন্দেহ করছে। বর্তমানে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়েছেন।

প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,২৫ জুন ২০২০