চাঁদপুর

চাঁদপুরে ঈদ কেনাকাটায় ভারতীয় পোশাকের চাহিদা

আর অল্প কদিন পরই সারাদেশে একযোগে উদযাপিত হবে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল ফিতর। আর এ ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলো কেনাকাটায় জমজমাট হয়ে উঠেছে।

প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাবিক্রি। তবে গত বারের মতো এবারো বাংলাদেশের চেয়ে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি বলে জানা গেছে। এবার পহেলা রমজানের শুরু থেকে তেমন বেচা বিক্রি না হলেও ১০/১২ রমজান থেকে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনা কাটার জন্য ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এবং বেচা কেনা জমে উঠতে দেখা যায়।
যতই দিন পার হচ্ছে ততই বাড়ছে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদেও ভীড়। গত কয়েক দিন ধরে চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হর্কাস মার্কেট, হাকিম প্লাজা, সাউথ প্লাজা, সরদার প্লাজা, পূরবি মার্কেট , মীর শপিং কমপ্লেক্স, নূর ম্যানশন, পৌর টাউন হল মার্কেট ফজলু ম্যনশনসহ বিভিন্ন শপিংমল গুলোতে ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড়। তবে এসব ক্রেতা সাধারণের মাধ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো নারী ক্রেতাদের সংখ্যা-ই বেশি লক্ষ্য করা যায়। এবং পোষাক সামগ্রীর মধ্যে নারীদের কাপড়, থ্রী পিচ, লেহেঙ্গাসহ নারীদের পোষাক বেশি বেচা বিক্রি হচ্ছে।

তাদের পচন্দের তালিকায় রয়েছে, ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে নামকরণ যেমন দুলহান, রাজকুমারী, রাখী বন্ধন, মুদি, বাহুবলি, সুলতান ওয়ান, সুলতান টু, সেলফি, রাখিমনি, জুলপি, টু পিস, থ্রীপিসসহ ভরতীয় বিভিন্ন আইটেমের নতুন নতুন নাম করণের বিভিন্ন পোষাক সামগ্রী।

এছাড়াও বিভিন্ন বয়সী নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কাতান শাড়ি, বেনারশি পাকিজা, ফেমাশীল, প্রেমজয় কাতানসহ পাকিস্তানি ও চায়না গজ কাপড়। তবে গত বছর ভারতীয় যেসব পোশাকের চাহিদা ছিলো সেসব পুরনো পোশাকের কথা ভুলে এবারও ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়ালের নামে বিভিন্ন পোশাকের নামকরণ করা হয়েছে। তাই নারী ক্রেতারাও পুরনো সিরিয়ালের কথা ভুলে নতুন সিরিয়ালের নামের পোশাক ক্রয় করছেন।
শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের আফরোজা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী আবু ইউসুফ ভুঁইয়া, চায়না বুটিকসের পরিচালক জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী ও তালুকদার বুটিকসের সত্ত্বাধিকারী ইমান হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় জর্জেট, কাতান ও তাঁতের শাড়ির বিশাল চাহিদা রয়েছে। তরুণীদের ভারতীয় তৈরি থ্রী পিচের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। যা রোজার শুরু থেকে আমরা আমদানি করেছি। এর বেচাবিক্রিও অনেক ভালো। দামের দিক থেকেও রয়েছে বেশ সুবিধাজনক। আগের তুলনায় এবার ঈদে বেচা বিক্রিও অনেক ভালো বলে তারা জানান।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে চলে বেচা বিক্রি। ঈদের আগেই কেনা কাটা সেরে ফেলার জন্য শহর এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা মার্কেট গুলোতে ভীড় জমিয়ে কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। তবে ঈদের কেনা কাটার জন্য চাঁদপুর শহরের বাইরে অবস্থানরত দুর দুরান্ত থেকে বিশেষ করে চরাঞ্চলের কাস্টমারের আগমন ঘটে।

সকাল ১১টা থেকে শুরু করে এবং তা ২টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। আর এ সময়ই মার্কেটগুলো থাকে বেশ জমজমাট। ২টার পর থেকেই কমতে থাকে কাস্টমারের সংখ্যা। আবার ঈফতারের পর শুরু হয়ে কেনা কাটা চলে রাত ১২ থেকে ১ টা পর্যন্ত। গভীর রাতেও সব ধরনের মার্কেট গুলোতে ক্রেতা সাধারণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ০০ পিএম, ১৪ জুন ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Share