পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে চাঁদপুরে ১১টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ১১টি অপমৃত্যুর মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু ছিলো হৃদরোগ।
এছাড়া পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২জন এবং বিষপানে এক কিশোরী ও পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃতু হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ ও আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র থেকে এ তথ্যে জানা গেছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসিবুল আহসান আসিব জানান, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসা রোগীদের আমরা মৃত অবস্থায় (ব্রড ডেথ) পেয়েছি। যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২ জন নারী, ৫ জন পুরুষ এবং একজন কিশোরী ও একজন মেয়ে শিশু রয়েছে।
অপরদিকে হাইচর উপজেলা ও মহামায়া এলাকায় পৃথক সড়কদূর্ঘটনায় নিহতরা হলো, সায়েম হোসেন (৮) ও ওমর ফারুক গাজী (৩৮)।
সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২১ আগস্ট জাহানারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মহিলা মারা যান। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার কালীবাজার হর্নিদুর্গাপুর গ্রামের সফিউল্লাহর স্ত্রী। একইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমুড়ুয়া গ্রামের ইসমাইল খানের তিন বছরের মেয়ে মারিয়া বাড়ির পুকুরে পড়ে নিহত হয়। শিশুটিকে মৃত অবস্থায় স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
২৩ আগস্ট সকালে বিষপান করে মারা যায় লিজা (১৩) নামের এক কিশোরী। নিহত লিজা হাইমচর চরকৃষ্ণপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে। একইদিন বেলা ১২টা ২৫ মিনিটের সময় আয়েশা বেগম নামে এক মহিলা হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আয়েশা রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের লগ্নিমারা চরের সহিদ উল্লার স্ত্রী। একই দিনে হার্টঅ্যাটাক করে মারা যান চাঁদপুর শহরের জিটি রোডের সামছুল হক গাজী (৮০), ওয়্যারলেস এলাকার মুন্সি বাড়ির নজরুল ইসলাম সরকার (৭০) ও শরীয়তপুর জেলার বালারহাটের নাজমুল বালা (৪৫)।
২৪ আগস্ট একইভাবে মৃত্যুবরণ করেন গুণরাজদীর আ. জব্বার হাওলাদার ও পুরাণবাজারের ব্যবসায়ী ও জাফরাবাদ নিবাসী নাছির মোল্লা (৪৭)।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম