স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | আপডেট: ০৮:২২ অপরাহ্ণ, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শনিবার
চাঁদপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ইগল-২ লঞ্চ যাত্রীদের সাথে সেবার নামে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, টিকেট না দিয়ে নগদ টাকা রেখে যাত্রী পারাপার, ৩য় শ্রেণীর টিকেট দিয়ে কেবিন কিংবা ১ম শ্রেণীর দাম নেয়া, মাস্টার কেবিন বেচাকেনা, কেন্টিনের নিম্নমানের খাবার দিয়ে দ্বিগুণ দাম নেয়া, হরহামেশা যাত্রীদের সাথে হয়রানি ও নাজেহাল করা হচ্ছে।
এসব ব্যাপারে অভিযোগ দেয়ার মত কোনো কর্তৃপক্ষ নেই লঞ্চের ভেতর। এ জন্য একবারে অসহায় হয়ে পড়েছে চাঁদপুর-ঢাকা রুটের যাত্রীসাধারণ। দিন দিনই টিকেটের দাম বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি একটুকুও। এসব অনিয়মের সাথে জড়িত ঈগল-২ লঞ্চের দায়িত্বে থাকা কেরানী মো. মজিবুর রহমান ও গুটি কয়েক কেবিনবয় এবং কেন্টিনের স্টাফরা।
এসব অনিয়ম দেখার যেনো কেউ নেই। লঞ্চের মালিকপক্ষের নেই কোনো মনিটরিং। যার কারণে লঞ্চের কেরানী থেকে শুরু করে স্টাফ সবাই হরিলুটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীদের কেবিনে রেখে তৃতীয় শ্রেণীর টিকেট ধরিয়ে দেয় কেরানী ও কেবিন বয়রা। কিন্তু টাকা নেয়া হয় কেবিনের কিংবা প্রথম শ্রেণীর।
শনিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঈগল-২ লঞ্চ ঢাকা-থেকে চাঁদপুর আসার সময় এমনই ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে ঈগল-২ লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে সন্ধ্যা ৬টায় পৌঁছলে ওই লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িক ধামাচাপা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, হরহামেশা এ রকম প্রতারণা করে আসছে ঈগল-২ লঞ্চ কেরানী আর কেবিন বয়দের যোগসাজসে। দীর্ঘদিন যাবত এ রুটে চলাচলকারী ঈগল লঞ্চ প্রথমে সেবার মান ভালো থাকলেও মালিক পক্ষের মনিটরিংয়ের অভাবে এখন সেবার মান সর্বনি¤œ পর্যায়ে চলে এসেছে।
পুরাতন ঈগল লঞ্চ জোড়াতালি দিয়ে এখন এ রুটে চালানো হচ্ছে। আরো অভিযোগ রয়েছে, উক্ত লঞ্চে খাবার মান নি¤œমানের হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ দাম রাখছে কেবিন বয় ও কেন্টিনের স্টাফরা।
অনেকটা জোর করে চাপিয়ে খাবার দাম নেয়া হচ্ছে। তার সাথে বকশিশের নাম করেও কেবিনের যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য করছে। আর এ লঞ্চের বাথরুমের অবস্থা বেহাল। একজন ভদ্রলোকের জন্য বাথরুম ব্যবহার করার মতো নয়। একান্ত বাধ্য না হলে কেউ বাথরুম ব্যবহার করে না। লঞ্চের মালিকপক্ষকে অন্ধকারে রেখে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে ঈগল লঞ্চ-২ কেরানী মোঃ মজিবুর রহমান ও কেবিন বয়রা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মালিক পক্ষের চাঁদপুর প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়গুলো দুঃখজনক। আমি সর্বদা চেষ্টা করছি যাত্রী সেবা দিতে। কিন্তু কতিপয় কর্মচারীর জন্য লঞ্চের অনেক বদনাম হচ্ছে। বিষয়গুলোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি মালিকপক্ষকে জানাবো।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫