চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ১শ’ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিলো দু’মাস। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুর মৎস্য আড়তে রূপালি ইলিশের দেখা মিলছে না। মাছঘাটে যে পরিমাণ ইলিশ আসছে তা সাইজে ছোট এবং দাম অনেক বেশি।
এদিকে পুরো মাছঘাট জুড়ে রয়েছে শরিয়তপুরের চাষকৃত মাছ। ফলে ইলিশের আড়ত এখন দেশীয় প্রজাতির মাছের দখলে। ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁদপুরে ইলিশের আমদানি খুবই কম। ৫শ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। আর ১কেজি ওজনের ইলিশ ১৬শ থেকে ১৮শ’ টাকা, দেড় কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২শ’ টাকা থেকে ২৫শ’ টাকায়।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা আরো জানান, এই সময়ে ইলিশ থাকার কথা থাকলেও নদীতে ইলিশ মিলছে না। নদীতে বর্ষায় পানি বৃদ্ধি পেলে ইলিশের সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু এই পানি পাহাড়ি ঢলের হওয়ায় ইলিশ উপরে উঠতে পারছে না। এ কারণে জেলেদের জালে ইলিশ আসছে না।
শনিবার (২১ জুলাই) চাঁদপুর মাছঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মৎস্য আড়তে চলে পাইকারি ও খুচরা ক্রয়-বিক্রয়। পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় শ্রমিকরা ঘাট সংলগ্ন নদীর পাড়ে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। কখন ইলিশ নিয়ে ঘাটে আসবে ট্রলার। পাড়েই পড়ে আছে ইলিশ ওঠা-নামার কাজে ব্যবহৃত বাঁশের তৈরি টুকরিগুলো।
ইলিশের আমদানি কম হওয়ায় অনেকটা বেকার সময় কাটাতে হচ্ছে মাছঘাটের শ্রমিকদের। এছাড়া অন্যান্য শ্রমিকরা শরিয়তপুর থেকে আসা চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছগুলোতে বরফ দেওয়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম