চাঁদপুরে ইলিশের আড়তগুলো ফাঁকা

দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা শুরু হলেও জেলেদের মুখে হাসি নেই। জেলেদের জালে তেমন মাছ মিলছে না। ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটের প্রধান ইলিশের আড়তগুলো এখন ফাঁকা।

ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আমদানি কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে স্বল্পসংখ্যক ইলিশ আমদানি হলেও দাম অনেক বেশি। বিগত বছরে সরগরম থাকা ইলিশের আড়তগুলোতে এখন চলছে অনেকটা সুনসান নীরবতা।

বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায় ঘাটের পন্টুনে কোনো মাছের ট্রলার নেই। শ্রমিকদের সংখ্যাও খুব কম। মাত্র কয়েকটি আড়তে বসে আছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। কয়েকটি আড়তের সামনে সামান্য সংখ্যক ইলিশ বরফ দিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। দাম অস্বাভাবিক। অন্যান্য প্রজাতির মাছের আমদানি না থাকায় কোনো খুচরা ব্যবসায়ীর দেখা মেলেনি।

মেসার্স তাজু ভুঁইয়া আড়তের ব্যবসায়ী দিদার হোসাইন বলেন, ইলিশের আমদানি কম থাকায় বড় সাইজের কয়েকটি ইলিশ বিক্রির জন্য বসে অপেক্ষয় আছেন। প্রতিটি ইলিশ ওজনে দুই থেকে আড়াই কেজি। প্রতি কেজির মূল্য ২৫০০ টাকা।

বিভিন্ন আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইলিশের আমদানি খুবই কম। গত তিন দিন নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর থেকে ট্রাকে করে আনা এবং চাঁদপুরের লোকালসহ সবগুলো আড়ত মিলিয়ে ১৫-২০ মণ করে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। দাম অনেক বেশি। ১ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০ হাজার টাকা মণ। ৮শ থেকে ৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণ ৭০ হাজার টাকা, ৫শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকা এবং আড়াইশ থেকে ৪শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ২৪ হাজার টাকা দরে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি রোটারিয়ান আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম না। যার কারণে ইলিশ নেই। সামনে মৌসুমে আশা করছি জেলেরা ইলিশ পাবেন, তখন আমদানিও বাড়বে। আমাদের লোকাল পদ্মা-মেঘনা নদীর খুব কম সংখ্যক ইলিশ আমদানি হচ্ছে।

চাঁদপুর করেসপন্ডেট,৫ মে ২০২২

Share