চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এবার ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে । হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাাঁপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি- বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে ।
তবে চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প ,মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি -বোরোর চাষাবাদ হয় ।
জেলার তফসীলী ব্যাংকগুলি কৃষি উৎপাদনের জন্যে চরতি অর্থবছর ১শ’ ৩৭ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চাঁদপুর জেলায় ৬২ হাজার ৫শ’৯৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৬ মে.টন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে-৫ হাজার ৭ শ’৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২১ হাজার ৩শ’৫৬ মে.টন, মতলব উত্তরে ৯ হাজার ১ শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৪ হাজার ৭ শ’ ৩৮ মে.টন, মতলব দক্ষিণে ৫ হাজার ৬ শ’ ৭৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২১ হাজার ৬শ’৭৮ মে.টন ।
হাজীগঞ্জে ১০ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার ২ শ’ ৪৭ মে.টন , শাহারাস্তিতে ৯ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৭হাজার ৪ শ’ ৯১ মে.টন ।
কচুয়ায় ১১ হাজার ৯ শ’৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৫ হাজার ৯ শ’ ৯৫ মে.টন, ফরিদগঞ্জে ১০ হাজার ১ শ’১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯হাজার ২ শ’ ২৪ মে.টন এবং হাইমচরে ৭ শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ হাজার ৭শ’ মে.টন চাল ।
কৃষকরা বর্তমানে লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো বা ডিপ নলকূপ দিয়ে পানি সেচ ,গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসাযনিক সার ব্যবহার , বোনার পরিবর্তে সারিবদ্ধ ভাবে ধান রোপণ, উন্নত বীজ ,পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার,নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইরি-বোরোর বাম্পর ফলন হচ্ছে বলে কৃষিবিদরা জানান।
এ ছাড়াও চাঁদপুর জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষি ভিত্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ ,বীজ রোপণ বা বীজবপন করে সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শি। যার ফলে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রযেছে।
চাদঁপুর কৃষি বিভাগের কৃষিবিদ আবদুল মান্নান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, কৃষকরা মাত্র ধান ঘরে তোলা শুরু করেছে বিধায় উৎপাদনের জরিপ তথ্য দিতে পারছি না।
এদিকে সরকার ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে চাঁদপুরের প্রকৃত তালিকাভুক্ত চাষীদের কাছ থেকে কেজি প্রতি ২৩ টাকা করে ধান এবং ৩২ টাকা করে চাল ক্রয় করবে ।
]আবদুল গনি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ এএম, ২০ মে ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ