চাঁদপুরে এবার ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

চাঁদপুর দেশের অন্যত্তম কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। চাঁদপুরের জরবায়ূ কৃষি উৎপাদনে সহায়ক। মেঘনা,ডাকাতিয়া,মেঘনা-ধনাগোদা ও পদ্মা নদী বিধৌত এ চাঁদপুর।

চাঁদপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। জেলার ৪টি উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন নদীভাঙ্গনগ্রস্থ,নদীবিধৌত ও নদীসিকস্তি।

চলতি মৌসুমে চাঁদপুরে এবার ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষিবিদগণ জানান। কোনো কোনো এলাকার ধান পাকা শুরু হয়েছে । আবার ঘরে তোলাও শুরু হয়েছে ।

কেননা চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা ধনাগোদা নামে দু’টি সেচ প্রকল্প রয়েছে। চাঁদপুর জেলার চারটি উপজেলা যথা-চাঁদপুর সদর,হাইমচর,ফরিদগঞ্জ,মতলব উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ২৩ হাজার ৩ শ’৯০ হেক্টর জমি রয়েছে এ দু’টোতে।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬শ ৯ মে.টন চাল নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে ।

হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ ৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়ে থাকে। চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প,মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়।

চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬শ’৯ মে.টন চাল।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, এবার এককভাবে উন্নত ফলনশীল ৫১ হাজার ৭শ ৭৬ হেক্টর চাষাবাদ এবং হেক্টর প্রতি ৪১০ মে.টনে উৎপাদন নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ২ শ’২৮ মে.টন। হাইব্রিড ৮ হাজার ৫শ ৫১ হেক্টর চাষাবাদ এবং হেক্টর প্রতি ৪৯৫ মে.টনে উৎপাদন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৩ শ’২৭ মে.টন ।

উৎপাদন বাড়াতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ শ মে.টন বিআর ২৮, ২৯ ও ৫৮ বোরো বীজ বরাদ্দ দিয়েছে দেশের কৃষি বিভাগ। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কৃষকগণ সরাসরি চাঁদপুর বীজ বিপনন কেন্দ্র থেকে বা কৃষিবিভাগের অনুমোদিত ১২৩ জন ডিলারের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করতে নির্দেশ ছিল । ১০ কেজি প্রতি ব্যাগের মূল্য ৫৫০ টাকা , মান ঘোষিত ৪৮০ টাকা এবং সুগন্ধি ৫৮০ টাকা করে মূল্য সংযোজন করা হয়েছে ।

চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ২০২০-২১ র্অথবছরে ২৪৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংকের এক তথ্যে জানা গেছে । এ পর্য ন্এত বিতরণ করেছে ১৭৭ কোটি টাকা ।

এ ছাড়াও সরকার প্রতিবছরের মত এবছরও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় কম-বেশি হারে সার,বীজ ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্ত‚কি রয়েছে সেচ চাষীদের জন্যে ২০% । জেলার খাদ্যের প্রয়োজন ৪লাখ ২২ হাজার ৯শ ৫৫ মে.টন।

আবদুল গনি , ৩ মে ২০২১

Share