চাঁদপুর শহরের ট্রাক ঘাট, পানা ডক ইয়ার্ড আবাসিক এলাকা,চাঁদপুর সেতুর গোড়া এবং চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের পাশে আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিত ইট-বালুর বালুর ব্যবসায় দারুনভাবে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঐসব এলাকায় বাসা-বাড়িতে মানুষ বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অসংখ্য বলগেট তথা ইটবালু বাহী বলগেট যাতায়াত ও নোঙর করার কাণে যে কোন সময় ঐ এলাকা দিয়ে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন সৃষ্টি হতে পারেও বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
এদিকে টাকঘাটে এখন ট্রাক রাখার যায়গা নেই। ইট আর বালু ছাড়া এখানে আর কিছুই দেখা যায় না। একটু বাতাস এলেই আবাসিক এলাকায় ধুলাবালুতে ছেয়ে যায়। এছাড়া পানামা ডক ইয়ার্ড এলাকায় ইট বালুর ব্যবসার কারণে মানুষের স্বাভাকি জীবন যাপন করতে পারছে না। অপরদিকে চাঁদপুর সেতুর গোড়ায় বালু ব্যবসার কারণে আবাসিকের পাশাপাশি মডেল মসজিদেও নামজের জামায়াতের তীব্র সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়। এছাড়া লাগাতার বালুবাহী বলগেট যাতায়াতের কারণে ব্রীজের পিলারের মারাত্ম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
চাঁদপুর শহরে যারা ইট-বালুর ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের অধিকাংশেরই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। এমনটি ইট-বালু বিক্রির কোন বৈধতার প্রমাণপত্রও নেই। তবুও তারা আইনকে তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ প্রভাব খাঁটিয়ে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজর মাধ্যমে এসব অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এসব অবৈধ ইট-বালু ব্যাবসার কারণে পরিবেশের যেমন বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যহানী ঘটছে। আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট জনিত বিভিন্ন রোগে এবং আক্রান্ত হচ্ছে মরণঘাতি চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগে। এছাড়া এসব বালু ব্যাবসায়ীরা বালু পরিবহনেও কোন নিয়ন নীতি মানছে না। ফলে সড়কেও খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন করতে দেখা যায়।
অতীতে এসব বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কেউ আমনে নেয়নি। পৌর প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজে আসেনি। বর্তমানে পরিবেশ পরিস্থিতি আরো ঘেলাটে হয়েছে। ইট-বালু ব্যাবসায়ীরা এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী প্রশাসনের জোড়ালো হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
প্রতিবেদক: এম ফরিদুল ইসলাম, ২০ এপ্রিল ২০২৫