চাঁদপুর

‘যে কোনো মুহূর্তে চাঁদপুরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী’

‘চাঁদপুরে বন্যা হবে এমন পূর্বাভাস রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোন মুহূর্তে চাঁদপুর আসতে পারেন। বন্যা পরবর্তীতে যদি কোথাও যদি ধস নামে তাহলে আমাদের জন্য হুমকি। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক ও প্রস্তত থাকতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা দেখে শুনে ছুটিতে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে দায়িত্ব সবার আগে।’

শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুরে বন্যা ও দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল এসব কথা জানান।

গুটি কয়েক চাঁদপুর বাসীই চাঁদপুরের ক্ষতি করেছে। তারা চরাঞ্চলের নদীর তীরবর্তী এলাকার থেকে বালু উত্তোলন করছে এবং নদীরপাড় থেকে মাটি কেটে ইট ভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছে।এতে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকাগুলোর বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হচ্ছে। জেলা প্রশাসন বেশ কয়েক বার মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া লোকজনকে মোটা অংকের জরিমানাও করেছে।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল হাইযের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বি এম হান্নান, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সুভাষ রায়।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নদীতে বালু উত্তোলনে বিষয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে সে নকশা অনুযায়ী বালু উত্তোলন করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশকৃত চৌহুর্দির বাইরে কাউকে বালু উত্তোলন করলে তাদেরকে ওপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।’

বালু উত্তোলনের নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘হাইকোটের নির্দেশেনায় চাঁদপুরে ৮টি বালুর মহল রয়েছে, তার বাইরে কাউকে পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সারা বাংলাদেশে ২০ জেলায় বালু উত্তোলন করছে। তার মধ্যে ২০তম জেলা হচ্ছে চাঁদপুর। এ কাজের সাথে জড়িতরা অনেক চতুর প্রকৃতির। আমরা যদি ডালে হাটি তারা পাতার পাতায় হাটে। কোনো অন্যায় কাজে জনরোধ সৃষ্টি হলে অপশক্তি সেখানে টিকে না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আইনের হাত দিয়ে যতটুকু যাওয়া প্রয়োজন ততটুকু আমরা গিয়েছি।’

সভায় অন্যান্যে মাঝে বক্তব্য রাখেন, মেঘনা-ঘনাগোদার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আতাউর রহমান, জনস্বাস্থ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ কবির চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, পুরাণ াজার ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, জেলা প্রথমিক শিক্ষ অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. কবির উদ্দিন, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থারসাধারণ সম্পাদিকা অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, এজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মুজিবুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আশ্রাফ আহম্মেদ চৌধুরী, হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফেজ আহমেদ, জেলা স্কাউটস সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক সহ সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।

About The Author

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
Share