চাঁদপুরে আলুর বস্তার চাপায় শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা

চাঁদপুর পুরাণবাজারের আড়ৎ পট্টিতে ফরিদ আখনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সোমবার (২৭ জুন) বিকেল ৩ টায় ‘আলুর বস্তার নিচে চাপা পড়ে’ জাকির (৩০) নামে এক শ্রমিকের করুন মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশকে না জানিয়ে ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দিয়ে লাশ দাফন করার চেষ্টা চালানোর কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক’জন ব্যবসায়ী চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিরকে স্থানীয় দোকানদাররা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় প্রেরণের নির্দেশ দেন। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ফরিদ আখন অবহেলা করে তাকে ঢাকায় না নিয়ে হাসপাতালে রাখেন। পরে শ্রমিক জাকিরের দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়লে অবশেষে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

আরো জানা যায়, জাকিরকে মতলব পর্যন্ত নেওয়ার পর সে বিকেল সাড়ে ৫টায় মৃত্যুবরণ করে এবং লাশ গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে ওই গ্রামের মৃত কাশেমের ছেলে।

নিহত জাকিরের স্ত্রী চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘দীর্ঘদিন থেকে জাকির পুরানবাজারের ফরিদ আখনের আড়ৎ দোকানে শ্রমিকের কাজ করে আসছিলো। ঘটনার দিন বিকেলে আলুর বস্তার খামাল ঘায়ে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার ঢাকায় রেফার করলে দোকান মালিক চিকিৎসার কোনো টাকা না দেয়ায় তাকে ঢাকা নেওয়া সম্ভব হয়নি। টাকা সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় বিকেলে ঢাকায় নেওয়ার পথে মতলবে যাওয়ার পর চিকিৎসার অভাবে তার করুন মৃত্যু হয়।

পরে তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে মালিক পক্ষ কাউকে বুঝতে না দিয়ে নিহত জাকিরকে গ্রামের বাড়ি বাখরপুরে পাঠিয়ে দেয়। জাকিরের পরিবারের বাবা ও মা কেউ বেঁচে নেই। বর্তমানে তার দুই সন্তান রয়েছে।

এদিকে জাকিরের এ করুন মৃত্যুতে তার পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসছে এবং স্থানীয়রা মৃত্যুর ঘটনায় দোকান মালিককে দায়ী করেছেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক

Share