চাঁদপুরের হাইমচরের আরিফ হোসেন হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ(১) ফারহানা ইয়াছমিন এ রায় দেন।
ঘটনার বিবরনে ও বাদী আসমা বেগমের অভিযোগ থেকে জানাযায়, ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টায় হত্যার ঘটনা ঘটে। আরিফ হত্যার প্রায় ৯ মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে মিজানুর রহমান খানের ছেলে আরিফ হোসেন খানের সাথে ইসলামি সরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে আরিফের মা খুকি বেগম আসমাকে পুত্রবধূ হিসাবে মেনে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তিতে গ্রহন করে নিলেও অভিযুক্তরা প্রায় সময় আসমা ও তার স্বামী আরিফের সাথে ঝগড়া বিবাদ ও শারিরীক নির্যাতন করতো। ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর শ্বাশুড়ি খুকি বেগম পুত্রবধূ আসমাকে তার বাপের বাড়ি বেড়াতে যেতে বললে আসমা বাপের বাড়ি উত্তর আলগি চলে যায়।
১৯ নভেম্বর ভোর রাতে শ্বাশুড়ি পুত্রবধুকে মোবাইল ফোনে জানায়, রাত সাড়ে ৩ টায় ডাকাতরা আরিফ হোসেন কে রক্তাক্ত জখম করেছে। আসমা তার বাপের বাড়ি থেকে দ্রুত স্বামীর বাড়িতে ছুঁটে এসে আরিফ খানকে রক্তাক্ত দেখতে পেয়ে এম্বুলেন্স যোগে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে মতলব সেতু পার হলে আরিফ হোসেন খান সকাল ৯ টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় আরিফের স্ত্রী আসমা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ডাকাতির ঘটনাটি সাজানো নাটক।
ওই দিনই নিহত আরিফের স্ত্রী আসমা বাদী হয়ে শ্বাশুড়ি খুকি বেগম ও ফরিদগঞ্জের জয়নাল হোসেন গাজী সহ অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামী করে হাইমচর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় পেনাল কোড মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাত বছর মামলা চলার পর ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ(১) ফারহানা ইয়াছমিন আসামী খুকি বেগম ও জয়নাল গাজীকে মৃত্যুদণ্ড আর মাহবুব ও ইউসুফ কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। রায়ের সময় সকল আসামি পলাতক ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরন।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক,২৩ আগস্ট ২০২৩