চাঁদপুরে আবারো সক্রিয় হচ্ছে বাসা-বাড়ির লোকদের অচেতন করা অজ্ঞান পার্টি চক্র। চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শহরের বিভন্ন আবাসিক এলাকার বাসাবাড়ির লোকদের অচেতন করে একের পর এক চুরির ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়ছে শহরবাসী।
এই মাসের রমজানের প্রথম দিনে শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় নাজমুল পাটওয়ারীর বাড়িতে লোকদের অচেতন করে অভিনব কায়দায় এ চক্রটি নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেই শহরের ট্রাক রোড়ের বটতলা এলাকায় বিএনপি নেতা মাহাবুব আনোয়ার বাবলুর বাড়িতে একই ঘটনা ঘটে। তবে ওই বাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখে ফেলায় সে যাত্রায় তারা রক্ষা পেলেও চেতনানাশক মিশ্রিত খাবার খেয়ে বেশ কজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বলে জানা যায়।
এছাড়াও একই এলাকায় ওই চক্রটি বেশ কিছু বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে। ওই চক্রটি তাদের একের পর এক দুঃস্কর্ম চালিয়ে গেলেও এ ক্ষেত্রে চাঁদপুর কমিউনিটি পুলিশিং ব্যর্থতাকে দায়ী করে তাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন নাগরিক মহল।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরে বাসা-বাড়িতে খাবারের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে চুরির ঘটনার সৃষ্টি করা একটি চক্র আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
অজ্ঞান পার্টির ওই চক্রটি কয়েকভাগে ভাগ হয়ে তাদের এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে তারা চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন আবাসীক এলাকা ঘুরে চুরি করতে সুবিধে হয় এমনসব বসা-বাড়ি খুঁজে। পরে সুযোগ বুঝে তাদের একটি টিম রান্নাঘরের জানালা দিয়ে খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দিয়ে যায়। এরপর রাতের কোন এক সময়ে ওই চক্রটির অপর টিম এসে চেতনানাশক মিশ্রিত খাবার খাওয়া ওই বাড়ির লোকদের ঘুমিয়ে রেখে ঘরের অলমাড়ি, সিন্ধুক খুলে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার সহ মুল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এদিকে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে চাঁদপুর প্রশাসন ও কমিউনিটি পুলিশিং এর কোনো কার্যত ভূমিকা না থাকায় সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে সোমবার (৫ জুন) চাঁদপুর মডেল থানার ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে চাঁদপুর সদর সার্কেল এএসপি মো. আফজাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, চাঁদপুরবাসী যেন শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে। সে জন্যে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএমের নের্তৃত্বে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আগামী ৩ দিন বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাই, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টিসহ কিছু চক্র লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড ও বিভিন্ন স্থানে মানুষকে ফাঁদে ফেলতে সক্রিয় থাকে। যে সকল অনিবন্ধিত গাড়ি রয়েছে সেগুলো সরাসরি বিভিন্ন চক্রের সদস্য। এ চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আশিক বিন রহিম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ০০ পিএম, ৬ জুন ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ