চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর বেলা ১০ টায় জুম এ্যাপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জুম অ্যাপস এর মাধ্যমে সম্পৃক্ত হন চাঁদপুরের মান্যবর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ।
এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন (Disaster Risk Governance)-’এর উপর বক্তাগণ এর জুম এ্যাপসের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করে।
এছাড়াও বেলা এগারোটায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন ।
অন্যান্যের মধ্যে সভায় সম্পৃক্ত ছিলেন-চাঁদপুর পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধা সরকার , জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা কেিিবএন জাকির হোসেন, চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ,স্কাউট কমিশনার অজয় কুমার ভৌমিক ও চাঁদপুর রেড ক্রিসেন্ট এর প্রতিনিধি ।
প্রসঙ্গত ,চলতি বছর করোনা মহামারীর পাশাপাশি একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, এরপর মার্চ ও এপ্রিলে গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহ, জুন মাস থেকে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি যা গত কয়েকবছরের তুলনায় অনেক বেশি। এরপর কয়েক দফায় বন্যা, সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আর এখন বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষ। এদিকে বেশ কয়েক দফা ভূমিকম্পও অনুভূত হয়েছে, তবে মাত্রা ছিল কম।
এদিকে এবারের শীতে ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি এ ২৬ দিনের তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২২ দিনই সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়। সেখানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চলতি বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ এপ্রিল। ওইদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া আরও দুদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৮ ও ৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয় রাজশাহীতে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এবার আষাঢ়ের বৃষ্টি গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়েছে। গত দু বছরের বর্ষা মৌসুমের তুলনামূলক চিত্র বলছে, ঢাকাসহ দেশের মধ্য অঞ্চলের পাশাপাশি উত্তর আর দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলোয় বৃষ্টির মাত্রা বেশি ছিল। এ ভারী বৃষ্টির পর শুরু হয় বন্যা। এতে কয়েক দফায় দেশের ৩৯ জেলা কমবেশি বন্যা কবলিত হয়। সরকারি হিসাবে পানিতে ডুবে মারা যায় ।
আবদুল গনি,১৩ অক্টোবর ২০২০