জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, সারা বিশে^র মধ্যে একটি মাত্র দেশই ভাষা আন্দোলনের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সেই দেশটি নাম বাংলাদেশ। রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগীতায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক গর্ব করে বলেন, ভাষা আন্দোলনে শহীদদের জীবনের বিনিময়ে, আজ ২৫ কোটি বাংঙ্গালী বাংলা ভায়ায় কথা বলছে। ভাষা আন্দোলনের পর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জাতিসংঘের ইউনেস্কো বরাবর ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারী কে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষনা করে, বৈশি^ক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা ও সমযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করতে। ১৯৯৯ সালে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা স্বীকৃতির কারনেই আজ বিশে^র ১৯৩ দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। আমরা আজ সেই ভাষা আন্দোলনে সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বারসহ সকল শহীদদের জন্য গর্ব করতে পারছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সাংবাদিক শরীফ চৌধুরীর পরিচালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ ছৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি বি এম হান্নান, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, সাবেক ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাংস্কৃতিক সংগঠক জীবন কানাই চক্রবর্তী, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব অধ্যাপিকা মাসূদা নূর খান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ চাঁদপুর টাইমসের চীফ করেসপন্ডেন্ট আশিক বিন রহিমের সম্পাদিত তরী কবিতার কাগজটির মোড়ক উম্মোচন করেন। পরে স্থানীয় শিল্পীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট ৩:৩১ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ